শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথমার্ধের ব্যবসায় (জানুয়ারি-জুন ১৮) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫০ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে। এসময় সবচেয়ে বেশি উত্থান হয়েছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের মুনাফায়। আর পতনের শীর্ষে রয়েছে ওয়ান ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে সবকয়টি চলতি বছরের প্রথমার্ধের আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে। ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে ১৫টি বা ৫০ শতাংশ ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে, ১৪টি বা ৪৬.৬৭ শতাংশ ব্যাংকের ইপিএস কমেছে এবং ১টি বা ৩.৩৩ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে। এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব এইচ মজুমদার বলেন, মনস্তাত্তিক ও সংখ্যাত্মক কারন ব্যাংকের মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, ২-৪টি ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে অন্য ব্যাংকগুলোতেও মানুষের আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে। যাতে ব্যাংকগুলোর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর স্বাভাবিকভাবে ব্যাংক নিম্নমূখী হলে সঙ্গে আরও কয়েকটির একই অবস্থা সৃষ্টি হয়। যাতে সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথমার্ধে অর্ধেক ব্যাংকের নিম্নমূখী অবস্থা। ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে সবচেয়ে বেশি হারে ইপিএস বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের। আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১০৫ শতাংশ। এরপরে ৮৯ শতাংশ বেড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূবালি ব্যাংক। আর ৫৯ শতাংশ বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এদিকে সবচেয়ে বেশি ইপিএস হয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের। আগের বছরের ১৫ শতাংশ বেড়ে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৮.১৩ টাকা। এরপরে ব্র্যাক ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ২.৩৬ টাকা। আর ২.১৭ টাকা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পূবালি ব্যাংক। ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে এই ৩টি ব্যাংকের ইপিএস ২ টাকার বেশি হয়েছে। আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি ইপিএস কমেছে ওয়ান ব্যাংকের। ব্যাংকটির ৭৮ শতাংশ ইপিএস কমেছে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৬ শতাংশ কমেছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের। আর ৭০ শতাংশ কমে ৩য় স্থানে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক। আগের বছরের প্রথমার্ধের ন্যায় ২০১৮ সালের প্রথমার্ধেও আইসিবি ইসলামীক ব্যাংকের লোকসান হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকটির লোকসান ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ০.৩১ টাকা।