সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা আত্মত্যাগ করেছিলেন, কারো কাছে মাথানত করেননি। তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করছেন।
আজ ০৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থের প্রথম খণ্ডের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আজীবন কাজ করবো।
তিনি বলেন, ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করত পাকিস্তানের ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি)। দীর্ঘ ২৩ বছরের সেইসব গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৪ খণ্ডের এই সঙ্কলন প্রকাশ করেছে হাক্কানী পাবলিশার্স।
শেখ হাসিনা বলেন, যেমন কয়লার খনি খুড়ে খুড়ে হীরা বের হয়, আমার মনে হয়েছে ঠিক সেভাবেই যেন হীরার খনি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার গোপন এই রিপোর্টগুলো থেকেই আমরা সব থেকে মূল্যবান তথ্য আবিষ্কার করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, যে পাকিস্তানকে যুদ্ধ করে আমরা পরাজিত করেছিলাম, সেই পাকিস্তানের অনেক বুদ্ধিজীবী বলছে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। অর্থাৎ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
তরুণ শেখ মুজিব নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে কেমন করে বাংলার অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হলেন- সেই পথচিত্র যেমন এই বইয়ে এসেছে, সেই সঙ্গে এসেছে বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে চলার মানচিত্র। এসব কারণে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই সঙ্কলনকে বিশেষজ্ঞরা বর্ণনা করছেন ‘অমূল্য সম্পদ’ হিসেবে।
১৪ খণ্ডের সঙ্কলনে ভাষা আন্দোলন, জমিদারি প্রথা বিলুপ্তকরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন, আওয়ামী লীগের জন্ম, শেখ মুজিবুর রহমানের চিঠিপত্র, বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ, বক্তব্য-বিবৃতি, গ্রেপ্তার, কারাবরণ, কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আত্মীয়-স্বজন ও নেতাকর্মীদের সাক্ষাতের বিষয়গুলো উঠে এসেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের বয়ানে।
ইংরেজি ভাষায় লেখা পুরনো এসব নথি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) রেকর্ড রুমেই পড়ে ছিল অযত্ন আর অবহেলায়।
বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী এসবি প্রধানের দায়িত্বে থাকার সময় প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে সেসব নথি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন এবং ৬০৬-৪৮ ফাইল নম্বর দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে যেসব ক্লাসিফায়েড তথ্য সেখানে ছিল, সেগুলোর পাঠোদ্ধার ও সঙ্কলিত করার ব্যবস্থা করেন।
‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অফ দা নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধাদের উদ্দেশে। ৫৮২ পৃষ্ঠার প্রথম খণ্ডের দাম রাখা হয়েছে ৯০০ টাকা। একই নকশায় প্রতিটি খণ্ডের প্রচ্ছদ করেছেন সমর মজুমদার।