মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ দূর্ঘটনা কাউকে বলে কয়ে আসে না,আর সেটা যদি হয় অগ্নিকান্ড তবে তো কথাই নেই। নিমেষেই চোখের পলকে ধুলিসাৎ হয়ে যায় সব কিছু। কিছু মানুষের বাঁচবার একমাত্র অবলম্বন আগুনে পুঁড়ে ছাই! বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট বাজারে শুক্রবার রাতে ৬:৪৫ মিনিটের সমায় বৈদ্যুতিক শকসার্কিটের কারনে ৮টি দোকান নিমেশেই অগ্নিকান্ডে ভষ্মিভুত হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রায়। এর পর সে আগুন খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে যেতে শুরু করে। আগুনের লেলিহান শিখার কাছে অবরুদ্ধ জনসাধারন। এর পরও প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য প্রায় ১ঘন্টা চেষ্টা চালানোর পর দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আগুন লাগার প্রায় এক ঘন্টা পর পার্শ্ববর্তী গৌরনদী, উজিরপুর ও কোটালীপাড়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রায় দুই ঘন্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। আরেকটু দেরি হলে এ আগুনে আরো বড়ো ধরনের ক্ষতির দিকে এগিয়ে চলতো। ৮টি দোকানের মধ্যে জসিম দাড়িয়ার কাপরের দোকান,জাহাঙ্গীর সিকদারের টিনের দোকান,আশিক দাড়িয়ার হাডওয়ার দোকান,আলিম শেখ (৯৯) দোকান ,সুজন শেখ প্রসাধনী দোকান,রফিক টেনলাস, মেরাজ কাঁপরের দোকান, সেলিম তাজ গ্যাস-সিলিন্ডারের দোকান, মোট ৮টি দোকান অগ্নিকান্ডে একেবারে পুরে যায়। ভাঙ্গিস আগুন পাশের গলিতে প্রবেশ করেনি। এখন উপজেলাবাসীর অভিযোগ নিজ উপজেলায় যদি একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকতো। তবে হয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো কম হতো। কারন উপজেলাবাসীর প্রানের দাবী একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গৌরনদী থেকে আগৈলঝাড়ার গ্রাম গুলোতে পৌছাতে পৌছাতে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। অনেকবারই গুঞ্জন উঠেছে যে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আগৈলঝাড়ায় হবে কিন্তু সেটার বাস্তবতা আজও অন্ধকারেই রয়েগেলো। স্বপ্নের ফায়ার সার্ভিস বাস্তবায়নের অপেক্ষায় উপজেলাবাসী! আর কোন বাহানা নয়! এবার আগৈলঝাড়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন দেখতে চায় উপজেলার আপামোর জনসাধারন। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভূক্তভূগী জনসাধারন। আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লিটন সেরনিয়াবাত, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক হারিছুর রহমান হারিছ, বাকাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিপুল দাস, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইদুর সরদার, সাধারন সম্পাদক অনিমেষ মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির ফাইজুল সেরনিয়াবাতসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উপেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।এবং ফায়ার সাভির্স স্থাপনের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।
আগৈলঝাড়া থেকে মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ