বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্কঃ ঢাকার নর্দ্দার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসের চাপায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আবারও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দায়ী বলে মনে করেন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন চালানো ইলিয়াস কাঞ্চন।ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, সরকার মালিক-শ্রমিক সংগঠনকে ভয় পায়, সে কারণে গত বছরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরও সড়কে দুর্ঘটনার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, সরকার কঠোরভাবে সড়ক পরিবহন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনের বিরোধিতার কারণে তারা সফল হচ্ছে না।তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে নভেম্বর মাসের শেষদিকে সরকারি দলে থাকা অবস্থাতেও মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংসদে নতুন পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকে। ওই হরতালের সময় রাস্তায় নামা গণপরিবহনের চালকদের হয়রানিও করে তারা।’
ওই হরতালের মাসখানেকের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার শ্রমিকদের ধর্মঘট থামায় বলে মন্তব্য করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।তিনি বলেন, নির্বাচনের পর হরতাল যারা করেছিল তাদের দাবিগুলো যাচাই করার একটি কমিটি এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও দুর্ঘটনা কমানোর জন্য কমিটি তৈরি করা হয়।তবে ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়নি।একই ধরনের ঘটনা বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়ার জন্য এবং এর প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্যই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এসব বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার, জনগণ সেসব পদক্ষেপের উদাহরণ দেখছে না বলেই তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে এবং মানুষ বারবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।তিনি জানান, আমরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশকে অনেক ক্ষেত্রে বলতে শুনেছি যে, পথচারী, চালক কেউই আইন মানছে না। যারা আইন মানাবে, তাদের মুখ থেকেই যদি এমন হতাশা প্রকাশ পায় তাহলে এটিকে সরকার এবং আইন গ্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতা হিসেবেই ধরতে হবে।তিনি বলেন, ‘সরকার যদি এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা না করে তা হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে না।’
খবর বিবিসি বাংলা