মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন

একটি সিগারেটেও ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগের!

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৬৩৫

প্রাণী দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি হলো হৃৎপিণ্ড। এটি ঠিক না থাকলে মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। অন্য কোনো কারণ না বললেও সিগারেটের কথাই বলি আজ। যা ছাড়া দিন-রাত কাটে না ধুমপায়ীদের। কিন্তু জানেন কি, সিগারেটেও ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগের।

 

অনেকে মনে করেন দিনে মাত্র একটা সিগারেট পানে আর কি এসে যায়? এতে ঝুঁকি খুব সামান্যই। কিন্তু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। সাধারণ সিগারেটের নিকোটিনের কারণে নানা মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হয় বলে দীর্ঘদিনের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার মেডিকেল জার্নাল বিএমজেতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনে পুরো প্যাকেটের ২০টি সিগারেট পান করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার যে ঝুঁকি, মাত্র একটি সিগারেট পান করলেও তার প্রায় অর্ধেক ঝুঁকি তৈরি হয়। খবর এএফপি’র।

 

প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক অ্যালান হ্যাকশাও বলেন, আমরা মনে করি কেউ দিনে ২০টি সিগারেটের বদলে কেবলমাত্র একটি পান করলে তার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলো মাত্র পাঁচ শতাংশ।

 

কিন্তু তিনি এএফপি’কে বলেন, ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হলেও হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এটি ঠিক নয়। দিনে মাত্র একটি সিগারেট পান করেও পুরো প্যাকেট ধূমপানের ঝুঁকির প্রায় অর্ধেক বহন করতে হয়। তিনি আরো বলেন, অনেকে মনে করেন যে দিনে সামান্য কয়েকটি সিগারেট পান করলে দীর্ঘ মেয়াদি কোন ক্ষতি হয় না। প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন ধারণা একেবারে ভুল।

 

উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ধূমপানজনিত কারণে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।

 

এদিকে কিছু প্রতিষ্ঠান ‘নিরাপদ’ দাবি করে ‘ইলেক্ট্রনিক সিগারেট’ বা ‘ই-সিগারেট’ বাজারজাত করে। যদিও ‘ই-সিগারেট’ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।
এক গবেষণায় জানা গেছে ই-সিগারেটের উপাদান দেহের সেল নষ্ট করে, যা থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। গবেষকরা ল্যাবরেটরি টেস্ট থেকে এ তথ্য জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি এও জানা গেছে সম্পূর্ণ নিকোটিন মুক্ত সিগারেটও দেহে ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত ই-সিগারেট মার্কেটিংয়ের জন্য নিরাপদ বলে দাবি করলেও এগুলো মোটেই নিরাপদ নয়।’

 

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনের অনেক কিছুই বদলে যায়। আমরা হয়তো জীবনব্যাপী নানা শিক্ষা থেকে আরো প্রজ্ঞাবান হয়ে উঠতে পারি। শুধুমাত্র এক সময়কার বদঅভ্যাসের কারণে ভুগতে হয়। যেমন বয়সজনিত রোগ। আমরা নিশ্চয়ই আমাদের দাদা-দাদি বা বাবা-মাকে বৃদ্ধ বয়সে নানা রোগে ভুগতে দেখেছি। তাই না? আমরা নিজেদের আরোও বেশি যত্ন নিতে তৎপর হই। অতএব, আগে থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com