রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপে ঘুরে-ফিরে আসছে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলিংয়ের বিষয়টি। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, কেন রিচার্ডসনদের বোলিংয়ে গতি বড় ব্যাপার। তাই এই বিষয়টি নিয়ে একটু আলাদাভাবে ভাবতেই হচ্ছে টাইগার ভক্তদের।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের পর অস্ট্রেলীয়দের ‘গতি’ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয় সাকিব-লিটনরা।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা পরের ম্যাচগুলিতে ধরে রাখতে পারেনি মাশরারফির দল। প্রকৃতিবাধা ও টানা হারে ফিকে হতে চলেছিল সেমিফাইনালের স্বপ্ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেই পথে লাইফলাইন পেলেন সাকিব-তামিমরা। সেই ‘জীবন’টা কাজে লাগালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর সাকিব আল হাসানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ দল কতখানি আশাবাদী। মাঠের মতো সংবাদ সম্মেলনেও দারুণ সপ্রতিভ সাকিব। জানালেন, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন তিনি। জানান, ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচের ফর্মটা ট্রেন্টব্রিজে বয়ে নিয়ে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো খুবই সম্ভব।
এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডিদের সামলেছেন তামিম-সাকিবরা। দ্বিতীয় ম্যাচে লকি ফার্গুসনের ১৫০ কিমির গোলা সামলাতে হয়েছে। বল হাতে আগুন ঝুড়িয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট-জিমি নিশামের মতো বোলার। ইংল্যান্ডের মার্ক উড-জোফরা আর্চারদের খেলার অভিজ্ঞতাও হয়েছে টাইগারদের। গত ম্যাচে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, ওশানে থমোসদের বলেকয়ে সীমানা ছাড়া করেছে ব্যাটসম্যানরা। তাই ম্টিল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের সামলানোটা আর এমন কি বড় বিষয়?
সাকিব মনে করেন, মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রাখলেই আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, ‘আমরা অস্ট্রেলীয় দলের বোলারদের গতি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। কারণ, আমরা ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলারদের খেলেছি, খেলেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের। দুই দলেরই ১৪০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি গতিতে বোলিং করা ফাস্ট বোলার আছে। এ বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার পর আমরা যদি মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রাখতে পারি, তাহলেই হবে। আমি মনে করি, আমরা যথেষ্ট ভালো দল। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের আছে।’
লিটনও অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলারদের নিয়ে নির্ভার, ‘এশিয়ান দলের বিপক্ষে সবাই শর্ট বল করা চেষ্টা করে। ১০ শর্ট বলের আমরা ৫টায় সফল হই, ৫টায় হই না। এশিয়ার বাইরের দলগুলো স্বাভাবিকভাবে এটা আমাদের বিপক্ষে চেষ্টা করবে। ওদের গতিময় বোলার আছে। আজ যেভাবে সামলে খেলেছি, পরের ম্যাচেও একইভাবে খেলতে হবে।’