শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
প্রযুক্তি ডেস্ক: চীনভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি বাইটডান্সের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এ অ্যাপের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতীয়দের তথ্য সংগ্রহ এবং তা চীনে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার ভারতের লোকসভায় জিরো আওয়ারে বক্তৃতা দেয়ার সময় টিকটক অ্যাপের কার্যক্রমকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। খবর পিটিআই।
বক্তব্যে শশী থারুর বলেন, তথ্যের সুরক্ষায় এখন পর্যন্ত ভারতের উল্লেখযোগ্য কোনো কাঠামো নেই। এক্ষেত্রে তথ্য বেহাত হওয়া এবং নজরদারির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, স্মার্টফোনের এ যুগে অ্যাপ, সোস্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের কল্যাণে ভারতে উল্লেখযোগ্য ডাটা উৎপাদন হচ্ছে। এসব তথ্য বিভিন্নভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ব্যবহার হতে পারে। এমনকি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিতেও কাজে লাগানো যেতে পারে। সম্প্রতি শিশুদের তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে টিকটককে ৫৭ লাখ ডলার জরিমানা করে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সেলফোন অপারেটর চায়না টেলিকমের মাধ্যমে টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য সরাসরি চীন সরকারের কাছে পৌঁছানোর অভিযোগ রয়েছে।
শশী থারুর বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন ডিজিটাল সেবার জন্য ভারত সরকারের উচিত একটি বিস্তৃত তথ্য সুরক্ষা কাঠামো পরিচয় করানো। এর মাধ্যমে গোপনীয়তার মৌলিক বিষয় এবং ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা করা সম্ভব হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে বিপুলসংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে টিকটক। এ ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপের গ্রাহক বৃদ্ধির হার বিবেচনায় গত এপ্রিল হতে পারত ভারত বাইটডান্সের সেরা বাজার। সম্প্রতি আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে দেড় কোটি সম্ভাব্য গ্রাহক হারিয়েছে টিকটক।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে ভারতে প্রায় দুই সপ্তাহ টিকটক ডাউনলোড ব্লক করে রেখেছিল দেশটির সরকার। এ সময়ের মধ্যে দেড় কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী টিকটক অ্যাপটি ডাউনলোড করতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে বৈশ্বিক পরিসরে টিকটক অ্যাপের ডাউনলোড কমেছে ৩৩ শতাংশ। একই মাসে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মাদ্রাজ হাইকোর্ট টিকটক নিষিদ্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে ভারতে যাত্রা করে টিকটক। দেশটিতে বর্তমানে এর ১২ কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে।