শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
সিনেমার দৃশ্যকেও হার মানানোর মতো ঘটনা। প্রেমিকার বাবার বেধড়ক মারধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রেমিক। বাড়ি থেকে পালিয়ে হাসপাতালে প্রেমিককে দেখতে ছুটলেন প্রেমিকা।
হাসপাতালে নিজের হাত কেটে প্রেমিকার সিঁথিতে ‘রক্ত তিলক’ এঁকে দিলেন আহত প্রেমিক। চলচ্চিত্রের দৃশ্য নয় এটি, এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলেন বনগাঁ সদর হাসপাতালের অনেকেই।
কয়েকবছর ধরেই বনগাঁর শক্তিগড় এলাকার বলরাম নাগ (২১) ও শিউলি বিশ্বাস (২০) একে অপরকে ভালোবাসেন। বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তারা। শিউলির পরিবার মেনে নেয়নি তাদের সম্পর্ক। দুই পরিবার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর চেস্টাও করেছে বহুবার। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
গত সোমবার শিউলির অনুপস্থিতিতে বলরামকে বাড়িতে ডাকেন তার বাবা। শিউলির জীবন থেকে বলরামকে সরে যেতে বলেন পেশায় শিক্ষক প্রদীপ বিশ্বাস।
বলরাম সাফ জানিয়ে দেন, শিউলিকে ভালবাসি। শিউলির জীবন থেকে সরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বলরামের এ রকম উত্তর পাওয়ার পরেই রেগে যান প্রদীপ।
শিউলির কয়েকজন আত্মীয় ও প্রদীপ মিলে বলরামকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারের চোটে মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলরাম।
এদিকে বাড়িতে এসে প্রেমিককে মারধরের খবর জানার পর লুকিয়ে বনগাঁ হাসপাতালে বলরামকে দেখতে যান শিউলি। সেখানেই শিউলি তার বাবা ও আত্মীয়স্বজনের কৃতকর্মের জন্য বলরামের কাছে ক্ষমা চান।
আহত বলরাম কালক্ষেপণ না করে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজের হাতের আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে সিঁদুর দান করেন প্রেমিক বলরাম। সেই রাতে তারা হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে স্থানীয় মন্দিরে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন।