রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: ব্র্যাক গড়ার পর সেখানে প্রায় অর্ধশত বছর সক্রিয়ভাবে কাজ করার পর অবসরে গেলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ; ছাড়লেন সংস্থার চেয়ারপারসনের পদ।
সক্রিয় পদটি ছেড়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিওটিতে সম্মানসূচক ‘চেয়ার এমেরিটাস’ পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন তিনি।
৬ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংখ্যক ব্যক্তিই উপস্থিত ছিলেন।
ফজলে হাসান আবেদের বিদায়ে ব্র্যাকের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারপারসনের পদে এসেছেন হোসেন জিল্লুর রহমান, যিনি সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ১১ মাস উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন।
ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারপারসনের পদে এসেছেন জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হক।
চেয়ারপারসনের বিদায়ের সঙ্গে ব্র্যাকের পরিচালনা পর্ষদে সাতটি পদেও পরিবর্তন এসেছে বলে ওই অনুষ্ঠানে জানানো হয়। পরিবর্তন এসেছে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পরিচালনা পর্ষদেও।
ব্র্যাকের বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন মুশতাক চৌধুরী, তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহ, লতিফুর রহমান, রোকিয়া আফজাল রহমান, লুভা নাহিদ চৌধুরী, মার্থা আলটার চেন, আদিব এইচ খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সৈয়দ এস কায়সার কবির।
ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন সিলভিয়া বোরেন, শাবানা আজমী, দেবপ্রিয় ভট্টচার্য্য, শফিকুল হাসান কায়েস, আইরিন জুবাইদা খান, পারভিন মাহমুদা, মুশতাক চৌধুরী, ফওজিয়া রশিদ, ভিক্টোরিয়া সেকিটোলেকো ও মারিলো ফন গোলস্টেইন।
৮৩ বছর বয়সী আবেদ ব্র্যাকের পাশাপাশি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পরিচালনা পর্ষদেও চেয়ারপারসনের পদে ছিলেন।
“তিনি এখনও সক্ষম, অনেক কাজও করেন, তারপরও তিনি দায়িত্বটি ছেড়ে দিচ্ছেন,” বলেন ফজলে হাসান আবেদের এক সহকর্মী।
নৈশভোজের পর ব্র্যাকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্র্যাকের এক নতুন নেতৃত্বের কাছে সংস্থাটির পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
“চেয়ার এমেরিটাস হিসেবে তিনি ব্র্যাকের কৌশলগত পরিকল্পনার সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকবেন। আগামী দিনগুলোতে ব্র্যাকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব ও অবস্থান কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে কাজ করবেন তিনি।”
৩৬ বছর বয়সে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন ফজলে হাসান আবেদ। ৬৫ বছর বয়সে নির্বাহী পরিচালকের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর চেয়ারপারসন হন তিনি। পরে তিনি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পর্ষদেরও চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদ বলেন, “বিগত কয়েক বছর আমি ব্র্যাকে আমার পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে অনেক ভেবেছি এবং সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন আমার বয়স ৮৩ বছর। ব্র্যাককে সামনে এগিয়ে নেওয়ার কাজে যথাযোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়টি ছিল আমার সিদ্ধান্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
গত সপ্তাহেই ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান আসিফ সালেহ। তিনি ইতোমধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে গত মে মাসে যোগ দেন মুহাম্মাদ মুসা। তারা সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্র্যাকের অগুনতি কর্মীদের স্মরণ করে ফজলে হাসান আবেদ বলেন, “ব্র্যাক কখনোই আমি বা কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান ছিল না। আমি এর প্রতিষ্ঠাতা ঠিকই, কিন্তু ব্র্যাকের সুদৃঢ় ভিত্তি ও সুনাম তৈরি করেছেন এর নিবেদিত কর্মীরা, তাদের প্রত্যয় ও কর্মনিষ্ঠা দ্বারা।
“আমি স্বপ্ন দেখি, ব্র্যাক আগামীতে আরও বড় হয়ে উঠবে, নতুন উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে, নতুন দিনের প্রয়োজনে এগিয়ে আসবে নতুন সমাধান নিয়ে।”
১৯৭২ সালে ফজলে হাসান আবেদের হাত ধরে যাত্রা শুরু করা ব্র্যাক এখন বিশ্বের ‘সর্ববৃহৎ’ এনজিও হিসেবে স্বীকৃত। এশিয়া, আফ্রিকা অঞ্চলের ডজনখানেক দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন বিশেষ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি (ব্র্যাক) নামে ব্র্যাকের কাজ শুরু হয়।
গণশিক্ষা থেকে শুরু করে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের মতো কাজের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হয় ব্র্যাকের কার্যক্রম। অনেকেই মনে করেন, ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হোসেন আবেদের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিৎ।
যে অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদের বিদায়ের ঘোষণা এল, ব্র্যাক সেন্টারে সেই নৈশভোজে নোবেলজয়ী বাংলাদেশি মুহাম্মদ ইউনূসও ছিলেন।
১৯৮০ সালে ম্যাগসেসে পুরস্কার পাওয়ার পর জীবনে অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ফজলে হাসান আবেদ। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার, স্পেনিশ অর্ডার অব সিভিল মেরিট, লিউ টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল ইত্যাদি। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনের নির্বাচিত ৫০ বিশ্বনেতার মধ্যে ফজলে হাসান আবেদের নাম স্থান পেয়েছিল।
ফজলে হাসান আবেদের জন্ম ১৯৩৬ সালে। তার উচ্চতর পড়াশোনা হয় লন্ডনে, হিসাব বিজ্ঞানে। পড়াশোনার পর তিনি একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পাকিস্তান শাখায় যোগ দিলেও ১৯৭০ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বদলে দেয় তার জীবনপথ। চাকরি ছেড়ে তিনি চলে যান লন্ডনে, সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনমত গঠনে কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯৭২ সালে ফিরেই দেশ পুনর্গঠনে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করে কাজে নেমে পড়েন।
ব্র্যাক গড়ার পর সেখানে প্রায় অর্ধশত বছর সক্রিয়ভাবে কাজ করার পর অবসরে গেলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ; ছাড়লেন সংস্থার চেয়ারপারসনের পদ।
সক্রিয় পদটি ছেড়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিওটিতে সম্মানসূচক ‘চেয়ার এমেরিটাস’ পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন তিনি।
৬ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংখ্যক ব্যক্তিই উপস্থিত ছিলেন।
ফজলে হাসান আবেদের বিদায়ে ব্র্যাকের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারপারসনের পদে এসেছেন হোসেন জিল্লুর রহমান, যিনি সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ১১ মাস উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন।
ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারপারসনের পদে এসেছেন জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হক।
চেয়ারপারসনের বিদায়ের সঙ্গে ব্র্যাকের পরিচালনা পর্ষদে সাতটি পদেও পরিবর্তন এসেছে বলে ওই অনুষ্ঠানে জানানো হয়। পরিবর্তন এসেছে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পরিচালনা পর্ষদেও।
ব্র্যাকের বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন মুশতাক চৌধুরী, তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহ, লতিফুর রহমান, রোকিয়া আফজাল রহমান, লুভা নাহিদ চৌধুরী, মার্থা আলটার চেন, আদিব এইচ খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সৈয়দ এস কায়সার কবির।
ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন সিলভিয়া বোরেন, শাবানা আজমী, দেবপ্রিয় ভট্টচার্য্য, শফিকুল হাসান কায়েস, আইরিন জুবাইদা খান, পারভিন মাহমুদা, মুশতাক চৌধুরী, ফওজিয়া রশিদ, ভিক্টোরিয়া সেকিটোলেকো ও মারিলো ফন গোলস্টেইন।
৮৩ বছর বয়সী আবেদ ব্র্যাকের পাশাপাশি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পরিচালনা পর্ষদেও চেয়ারপারসনের পদে ছিলেন।
“তিনি এখনও সক্ষম, অনেক কাজও করেন, তারপরও তিনি দায়িত্বটি ছেড়ে দিচ্ছেন,” বলেন ফজলে হাসান আবেদের এক সহকর্মী।
নৈশভোজের পর ব্র্যাকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্র্যাকের এক নতুন নেতৃত্বের কাছে সংস্থাটির পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
“চেয়ার এমেরিটাস হিসেবে তিনি ব্র্যাকের কৌশলগত পরিকল্পনার সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকবেন। আগামী দিনগুলোতে ব্র্যাকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব ও অবস্থান কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে কাজ করবেন তিনি।”
৩৬ বছর বয়সে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন ফজলে হাসান আবেদ। ৬৫ বছর বয়সে নির্বাহী পরিচালকের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর চেয়ারপারসন হন তিনি। পরে তিনি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পর্ষদেরও চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদ বলেন, “বিগত কয়েক বছর আমি ব্র্যাকে আমার পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে অনেক ভেবেছি এবং সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন আমার বয়স ৮৩ বছর। ব্র্যাককে সামনে এগিয়ে নেওয়ার কাজে যথাযোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়টি ছিল আমার সিদ্ধান্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
গত সপ্তাহেই ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান আসিফ সালেহ। তিনি ইতোমধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে গত মে মাসে যোগ দেন মুহাম্মাদ মুসা। তারা সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্র্যাকের অগুনতি কর্মীদের স্মরণ করে ফজলে হাসান আবেদ বলেন, “ব্র্যাক কখনোই আমি বা কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান ছিল না। আমি এর প্রতিষ্ঠাতা ঠিকই, কিন্তু ব্র্যাকের সুদৃঢ় ভিত্তি ও সুনাম তৈরি করেছেন এর নিবেদিত কর্মীরা, তাদের প্রত্যয় ও কর্মনিষ্ঠা দ্বারা।
“আমি স্বপ্ন দেখি, ব্র্যাক আগামীতে আরও বড় হয়ে উঠবে, নতুন উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে, নতুন দিনের প্রয়োজনে এগিয়ে আসবে নতুন সমাধান নিয়ে।”
১৯৭২ সালে ফজলে হাসান আবেদের হাত ধরে যাত্রা শুরু করা ব্র্যাক এখন বিশ্বের ‘সর্ববৃহৎ’ এনজিও হিসেবে স্বীকৃত। এশিয়া, আফ্রিকা অঞ্চলের ডজনখানেক দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন বিশেষ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি (ব্র্যাক) নামে ব্র্যাকের কাজ শুরু হয়।
গণশিক্ষা থেকে শুরু করে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের মতো কাজের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হয় ব্র্যাকের কার্যক্রম। অনেকেই মনে করেন, ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হোসেন আবেদের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিৎ।
যে অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদের বিদায়ের ঘোষণা এল, ব্র্যাক সেন্টারে সেই নৈশভোজে নোবেলজয়ী বাংলাদেশি মুহাম্মদ ইউনূসও ছিলেন।
১৯৮০ সালে ম্যাগসেসে পুরস্কার পাওয়ার পর জীবনে অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ফজলে হাসান আবেদ। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার, স্পেনিশ অর্ডার অব সিভিল মেরিট, লিউ টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল ইত্যাদি। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনের নির্বাচিত ৫০ বিশ্বনেতার মধ্যে ফজলে হাসান আবেদের নাম স্থান পেয়েছিল।
ফজলে হাসান আবেদের জন্ম ১৯৩৬ সালে। তার উচ্চতর পড়াশোনা হয় লন্ডনে, হিসাব বিজ্ঞানে। পড়াশোনার পর তিনি একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পাকিস্তান শাখায় যোগ দিলেও ১৯৭০ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বদলে দেয় তার জীবনপথ। চাকরি ছেড়ে তিনি চলে যান লন্ডনে, সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনমত গঠনে কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯৭২ সালে ফিরেই দেশ পুনর্গঠনে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করে কাজে নেমে পড়েন।