মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদপুরের মতলবে মসজিদের ইমামের কক্ষে একসঙ্গে তিন শিশুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে এই মামলায় বাদী হয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার আইচ।
এদিকে, আজ শনিবার ভোরে ঢাকা থেকে সিআইডির পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পর্যবেক্ষণ এবং আলামত সংগ্রহ করেছে। এছাড়া থানা ও জেলা পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, (পিবিআই) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কয়েক দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেছে।
অন্যদিকে, মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার আইচ (ওসি) জানান, সকালে তিন শিশুর লাশের ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আপাতত সংক্ষুব্ধ কেউ বাদী না হওয়ায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মতলব পৌরসভার পূর্ব কলাদি জামে মসজিদের ইমাম জামাল উদ্দিনের কক্ষ থেকে এই তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ইমাম জামাল উদ্দিনের পাঁচ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমান, মতলবের উত্তর নলুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ১৫ বছরের ছেলে রিফাত হোসেন এবং একই উপজেলার নাটশাল গ্রামের মৃত কামাল পাটোয়ারীর ১২ বছরের ছেলে মো ইব্রাহিম রয়েছে।
তাদের মধ্যে রিফাত ও ইব্রাহিম মতলব দক্ষিণের নাওভাঙা ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। গত শুক্রবার জুমার নামাজের আগে রিফাত মসজিদের মাইক থেকে আজানও দিয়েছিল। ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে পায়নি।
এই বিষয় শনিবার চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেছেন, শিশুদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে পুলিশের একাধিক দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে, সিআইডির অপরাধ অনুসন্ধান দল ও রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দল। একই সঙ্গে পিবিআই এবং ডিবি পুলিশও পৃথকভাবে কাজ শুরু করেছে। পুলিশ সুপার আশা করছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
তবে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জন রয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিলাদের তবারুক খেয়ে ওই তিন শিশু ইমামের কক্ষে যায়। এসময় তারা সেখানে থাকা আইপিএস-এর ব্যাটারির পানি ভুল করে খেয়ে ফেলে। ফলে তার বিষক্রিয়া শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। আবার কেউ বা বলছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ওই সময় মতলব বাজার এলাকায় বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এসব গুঞ্জন সেখানে ছড়িয়ে পড়লেও একই নিয়ে সরাসরি কেউই মুখ খুলছেন না।