মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সংগীত ওষুধের কাজ করে, মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের দাবি এবার থেকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার: হাইকোর্ট দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরী চিঠি শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে রাঙামাটিতে নারী ও মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাসহ ১০ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে ছাত্রদল–যুবদলের দুই নেতা গ্রেপ্তার ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটাতে নরসিংদী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা নিজে মানুষ হবার শিক্ষা নেই কিন্তু স্বপ্ন দেখে এমপি হওয়ার, হাদিকে নীলা ইসরাফিল কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন বড় জয়ে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জালিয়াতি: ভূমি অধিগ্রহণে কোটি টাকার অনিয়ম, দুদুকে অভিযোগ

টাকার অভাবে মৃত মেয়েকে কোলে নিয়েই রওনা

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৯৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অ্যাম্বুলেন্স দেয়নি হাসপাতাল। তাই বাধ্য হয়ে সাত বছরের মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়েই হাঁটতে শুরু করলেন অসহায় বাবা। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানার করিমনগর জেলায়। হতভাগ্য ওই ব্যক্তির নাম সম্পত কুমার। তার বাড়ি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নিজের জেলা পেড্ডাপল্লির কুনাভরম গ্রামে।

এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রকাশ হতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের প্রবল সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সম্পত কুমারের সাত বছরের মেয়ে কোমলতা। বাধ্য হয়ে তাকে করিমনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন সম্পত।

গত রোববার হাসপাতালে মারা যায় শিশু। এতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সম্পত। মেয়ের মৃতদেহ নিজের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানায়, অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে গেছে। তাই মৃতদেহ নিয়ে যেতে চাইলে বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার মতো টাকা ছিল না সম্পতের পকেটে।

তাই প্রিয় সন্তানের মৃতদেহ বুকে জড়িয়ে হাসপাতাল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। রাস্তা দিতে কাঁদতে কাঁদতে মেয়েকে কোলে নিয়ে ফিরছিলেন সম্পত। কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পর তাকে ওই অবস্থায় হাঁটতে দেখে কী হয়েছে জানতে চান এক অটো-চালক। পুরো বিষয়টি শোনার পর নিজের অটোতে করে সম্পতকে তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেন ওই অটো-চালক।

পরে সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে যায় পুরো তেলেঙ্গানায়। এদিকে, পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বরং ওই ব্যক্তি তাড়াহুড়া করছিলেন। তিনি নিজেই মেয়ের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com