সোমবার, ১৬ Jun ২০২৫, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ভোলায় ঈদ উপহার খাসি না পাঠানোয় মেয়েকে নির্যাতন, শঙ্কায় বৃদ্ধা মা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাটের ওপর নড়াইলে সন্ত্রাসী হামলা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি অধ্যাপক বি.এম. নাগিব হোসেনের ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাল টাকায় গরু বিক্রি করা সেই বৃদ্ধকে ওমরাহ করাতে চান অপু বিশ্বাস হাইওয়ে পুলিশের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কৃষি জমিতে বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ উপদেষ্টার বেলকুচিতে বাইক কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪ গুম এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে বিএনপি: আমিনুল হক
দিনের পর দিন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক

দিনের পর দিন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্কুলে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ওই স্কুলের একজন শিক্ষককে। শুক্রবার ভারতের নদিয়ার তেহট্ট থানার বেতাই জিতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের মধ্যেই ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালাত শিক্ষক। যদিও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভারতে নারীদের ওপর একের পর এক নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও হচ্ছে।

তবে এর মধ্যেই আবারো হতাশা উসকে প্রকাশ্যে এসেছে স্কুলে শিশুকন্যার ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, স্কুল চলাকালীন ওই ছাত্রীকে আলাদা করে ডেকে দোতলায় নিয়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষক রজতজ্যোতি বিশ্বাস। ছুটির পরেও তাকে অনেক সময় স্কুলের দোতলায় ডেকে নিয়ে যেতে দেখেছে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। সেখানেই চলত যৌন নির্যাতন।  বাড়িতে বা বন্ধুদের এ বিষয়ে কিছু জানাতে নিষেধও করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এজন্য ভয়ও দেখানো হত তাকে। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হত।

ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ভয়ে কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসতে চাইত না মেয়ে। স্কুলে আসার কথা বললেই নানা অজুহাত দেখাত সে। কখনো বলত, পেটে ব্যথা তো কখনো অন্য কোনো বাহানা। প্রথমদিকে তার এই অজুহাতে আমল না দিলেও পরে ছাত্রীর মায়ের সন্দেহ হয়। কিশোরীর হাবভাবও অস্বাভাবিক লাগে তার। পরপর দু’দিন ছাত্রীর পোশাকে রক্তের দাগ দেখতে পান তিনি। এরপর মেয়েকে চেপে ধরতেই কাঁদতে কাঁদতে মাকে সব জানায় সে। আর দেরি করেননি তারা। তেহট্ট থানায় অভিযোগ জানান।

এরপর শুক্রবার স্কুলে চড়াও হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে তেহট্ট মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পদ্মাবতী হালদার বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আজ স্কুলে পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে হঠাৎ করে কয়েকজন যুবক এসে ওই শিক্ষককে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পুরো বিষয় জানায়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com