শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নতুন নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেব না- স্লোগানে তৃতীয় দিনের মতো রাজপথে মমতা ব্যানার্জি। আজ বুধবার হাওড়া ময়দানে শুরু করে ব্রেবোর্ন রোড, টি-বোর্ড হয়ে মিছিলের গন্তব্য ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং।
তৃণমূল বলছে, বৃহস্পতিবার দুুপুর ২টায় রানি রাসমণি রোডে এবং শুক্রবার দুুপুর ৩টায় পার্ক সার্কাসে নতুন নাগরিক আইন বিরোধী সভাও করবেন মমতা ব্যানার্জি। সিএবি সংসদে পাস হওয়ার পর মমতা ঘোষণা করেছিলেন উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা এবং হাওড়ায় তিন দিন মহামিছিল করবে তৃণমূল।
সে অনুসারে সোমবার রেড রোড থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পদযাত্রা করেন তিনি। সঙ্গে ছিল বিশাল মিছিল। মঙ্গলবারও দুপুর ১টা নাগাদ যাদবপুরের ৮-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত যান। হাজার হাজার মানুষের সামনে সেখানেই তিনি বার্তা দেন- আমরা এই এই রাজ্যে নতুন নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেব না।
মমতা আরো বলেন, শান্তির স্বার্থে এই আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা চলছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আমার সঙ্গে হাঁটছে। সকলকে ধন্যবাদ। আমরা হিংসা চাই না বলে পথে নেমেছি। এক হাজার বুলেটের যা দাম, ১০টা মানুষ পথে নেমে কথা বললে তার দাম বেশি। বুলেট দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন আটকানো যায় না।
তিনি আরো বলেন, আধার কার্ড চলবে না, এ কথা বলছেন কেন? আধার কার্ড জরুরি নয় তা হলে জনতার ৬ হাজার টাকা খরচ করালেন কেন? আধার না চাইলে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ করালেনই বা কেন? ভোটার কার্ড হবে না বলছেন। তা হলে ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলেন কীসের ভিত্তিতে?
মমতা আরো বলেন, বাবরির পরে দেশে আর কখনো অশান্তি দেখিনি। এখন দেখুন আসাম, কাশ্মীর, ত্রিপুরা জ্বলছে। কয়েকটি জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। রেলে ভাঙচুরও। আমি সবাইকে শান্ত হতে বলেছি। আর আপনারা বলছেন গুলি করতে। গণতান্ত্রিক দেশে এমন কথা বৈধ? সবকা সাথ সবকা বিকাশ বলে আপনারা সবার মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন কেন?
মমতা আরো বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই আইন পাস করানো হয়েছে। কিন্তু এই আইন অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক। আগে সিপিএম ভোট করতে দিত না। একেক জনের ১০টা ১৫টা ভোটার কার্ড থাকত। আমি বলেছিলাম নো আইডেন্টিটি কার্ড নো ভোট। আমি সেটা নিয়েই পার্লামেন্টে গিয়েছিলাম। আজ বাজারে ফেক ভিডিও ছেড়ে আমার নামে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপির টাকায় এই ভিডিও হয়। এই ভিডিও ছড়াতে দেবেন না।