রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক : মোংলা বন্দরে নিরাপদ চ্যানেল তৈরি, সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং ও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্পসহ মোট ৭ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি জানান,চলতি অর্থবছরের ১৫তম একনেক সভায় আজ যে ৭ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়, সেগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৪৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪ হাজার ৩৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ২টি সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ণ থাকবে ১১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ’ বাস্তায়ন হলে মোংলা বন্দরে আগত ও প্রত্যাগমনকারী জাহাজসমূহের সুষ্ঠু হ্যান্ডলিং,দ্রুত পাইলটিং ও পাইলটদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিতকরণ, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি বন্দরের হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৯ হতে জুন, ২০২২ মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে।
মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত,ভুটান ও নেপাল যেন মোংলা বন্দর সহজেই ব্যবহার করতে পারে, সেলক্ষ্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এর পাশাপামি তিনি এসব দেশের সঙ্গে নদীপথে বাণিজ্য বাড়ানোরও নির্দেশ দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো জানান,একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নদীর পাড় ঘেঁষে ড্রেজিং করলে নদীভাঙনের আশঙ্কা থাকে, তাই ড্রেজিং কার্যক্রম পাড় ঘেঁষে না করাই ভাল। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পায়রা,মোংলাসহ নতুন-পুরাতন বন্দরগুলোতে আধুনিক স্কান্যার বসানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় বিগত অর্থবছরের পরিকল্পনামন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি’ প্রকল্প। এর বাস্তবায়ন খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩০২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সক্ষমতা জোরদার করতে অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সিলেট, লালমনিরহাট ও বরিশাল ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা অংশের সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১০২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮১৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে নর্দমা নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।