শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০২ অপরাহ্ন
জনি সাহা : রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর পাটোয়ারী বাড়ি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে এক হিন্দু পরিবারে ১১জন মুসলমান হওয়ায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
মাহফিলে উপস্থিত লাখো মুসলিমদের ধোকা দিয়ে একটি চক্র অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় মুসলমান পরিবারকে হিন্দু সাজিয়ে ধর্মান্তরের নাটক সাজিয়েছে।উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোসাম্মদ ফাতেমা বেগমের ছেলে ও নারায়নপুর আঃ হাই ডাক্তার বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে মনির হোসেন কয়েক বছর পুর্বে অবৈধ ভাবে ভারতে যায়।
সেখানে গিয়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে পিকআপ গাড়ী চালায়। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ভাড়া বাসার মালিকের মেয়ে রেখা অধিকারীকে বিয়ে করে। এর কয়েক মাস পরেই রেখার জেঠাতো বোন সুজাতা অধিকারীকে বিয়ে করে।
মনির হোসেনের প্রথম স্ত্রী রেখা অধিকারীর সংসারে মরিয়ম বেগম,শ্যাফালী বেগম,মারিয়া আক্তার,নুসরাত জাহান,জান্নাত আক্তার এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সুজাতা অধিকারীর সংসারে আঃ করিম,আয়েশা আক্তার,আবদুল্লাহর জন্ম হয়।
ভারত থাকাবস্থায় মনির হোসেন দুই বছর পুর্বে তার বড় মেয়ে শ্যাফালীকে তার বোন পারভিন বেগমের ছেলে পারভেজ হোসেনের সাথে বিয়ে দেয়। কয়েক মাস পুর্বে মনির হোসেন দুই স্ত্রী,সন্তান ও এক নাতী আঃ রহমানকে নিয়ে দেশে ফিরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১ডিসেম্বর-২০১৯ সালে দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের ও ১০ নভেম্বর-২০১৯ সালে মনির হোসেন চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জম্ম নিবন্ধন নেয়।
এলাকাবাসী জানান, মনির হোসেনের মেয়ে জান্নাত আক্তার ও আয়েশা আক্তার হরিশ্চর মাদ্রাসার ৫ম শ্রেনীতে এবং অন্য মেয়ে আব্দুল্লাহ হরিশ্চর নুরানী মাদ্রাসাতে চলতি বছরের ১লা জানুয়ারীতে ভর্তি হয়। শুক্রবার মিজানুর রহমান আজহারী মাহফিলে মনির হোসেনকে সংকর অধিকারী,তার স্ত্রী রেখা অধিকারী ও সুজাতা অধিকারী,সন্তান মরিয়মকে মিতালী,শ্যাফালীকে শ্যাফালী বেগম,মারিয়াকে রুপালী,নুসরাতকে কোয়েল, জান্নাতকে শ্যামলী,আঃ করিমকে রাজা, আয়েশা কে সুমা,আবদুল্লাকে রাজেস এবং নাতী আঃ রহমানকে সুর্য দেখিয়ে ধর্মান্তর ঘোষনা দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনির হোসেন বলেন,আমি ভারতে থাকাবস্থায় সংকর অধিকারী পরিচয় দিতাম। দেশে ফিরে পূর্বের পরিচয় দিয়ে একটি অটোরিক্সা নিয়ে দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে জীবন-যাপন করছি।