মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ব্যক্তিদের নামে। বছরের পর বছর তারা অবৈধভাবে ঘাট চালাচ্ছেন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।
অভিযোগে জানাযায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের ইয়াকুবপুর বটতলী বাজার সংলগ্ন টাঙ্গন নদীর ঘাটটি অবৈধভাবে চালাচ্ছেন এই এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মৃত সমেউদ্দিনের ছেলে আলাল ও জালাল নামের দুই ভাই।
কোনরকম বৈধ কাগজ ছাড়াই বিগত কয়েক বছর ধরে তারা চালাচ্ছেন এই ঘাট। এতে করে সরকার হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাহেন্দ্র,পাওয়ার টলি প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করছে।
মাহেন্দ্র প্রতি নেওয়া হচ্ছে ২০০টাকা আর পাওয়ার টলির জন্য নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। আলালের ছেলে আতিক জানান,এখন নদীতে পানি থাকায় গাড়ির সংখ্যা একটু কম। পানি কমে গেলে গাড়ির সংখ্যা বাড়ে।
এদিকে আলালের কাছে অবৈধভাবে ঘাট চালাচ্ছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,অবৈধভাবে চালাচ্ছিনা সালান্দর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম মুকুলের অনুমতিতে ইজারা নিয়ে চালাচ্ছি।তাছাড়া স্থানীয় ১৩ জনকে টাকা দিয়ে ঘাট চালাতে হয়।
এব্যাপারে সালন্দর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম মুকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই অনেক কিছু করে।তারা বৈধ কোন কাগজ দেখাতে পারবেনা।
বিষয়টি আলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত একটি কাগজ ধরিয়ে দেন।যেখানে ইউনিয়ন পরিষদের কাগজে হাট-বাজার/ফেরীঘাট/জলমহল ইজারার ঘরে টিক দেওয়া।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,আলাল হাট-বাজারের ইজারা নেননি। এখানে কোন ফেরীঘাট নেই। তাছাড়া জলমহলের বিষয়টিও ঘোলাটে। টাঙ্গন নদীর এমন অবস্থা নেই যে জলমহল ইজারা দেওয়া হবে।
এখানে একটি কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সেই কাগজে কথায় লিখা ৫০০০ টাকা আদায় আর অংকে লিখা ১০০০০ টাকা। এখানেও একটা ফাঁক থেকেই যাচ্ছে।
আলালকে জিঙ্গাসা করলে সে জানায় তার কাছ থেকে চেয়ারম্যান ১০০০০ টাকা আদায় করেছেন।
এদিকে স্থানীয় অভিযোগকারীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধভাবে ঘাট চালানোর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ-আল-মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি জানা ছিলনা।
দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বালু উত্তোলন করার ইজারা দেবার এখতিয়ার নেই। এটা একমাত্র জেলা প্রশাসকই দিতে পারে।