বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নন-লাইফ বীমা খাতের উন্নয়ন বিষয়ক কিছু ভাবনা শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দ্বিগুণ হচ্ছে এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা সানলাইফ ইন্সুরেন্সের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ ১৬ জুলাই সহিংসতার ঘটনায় মন্ত্রী পরিষদ থেকে গঠিত তদন্তদল গোপালগঞ্জে ১২ বছরের অনন্য অর্জন উদযাপন করল জেনিথ ইসলামী লাইফ প্রথাগত অভিজ্ঞতা বদলে দেশে ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স সেবা দুর্গাপুরে আষাঢ়ে বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক কৃষানীরা  লালমনিরহাটে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার, ট্রাক উদ্ধার
করোনা সেবা : গাড়ির পর এবার বাড়ি দিলেন ব্যারিস্টার সুমন

করোনা সেবা : গাড়ির পর এবার বাড়ি দিলেন ব্যারিস্টার সুমন

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে নিজের ব্যক্তিগত পাজেরো গাড়ি চালকসহ ডাক্তারদের দেওয়ার পর এবার নিজের থাকার আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়িও দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ওই বাড়িতে ডাক্তারসহ ১৭ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ওই সময়ে তিনি নিজে অন্যত্র পরিবার নিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ব্যারিস্টার সুমন জানান, তার বাড়ি ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব আকারে স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। তার গাড়ি ও বাড়ি ব্যবহার করে যাতে ডাক্তাররা আরো বেশি সেবা দিতে পারেন তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন চিকিৎসকরা তাই তার এ সিদ্ধান্ত।

এর আগে ব্যারিস্টার সুমন তার ৪১ দিনের বেতনের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করোনার জন্য দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় করেন। তিনি পাঁচজন ডাক্তারের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল টিমও গঠন করেন। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন জানান, আমরা ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করছি। এটি প্রতিদিন আসে।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে আমরা প্রস্তাব পেয়েছি। যখন  প্রয়োজন হবে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তবে এই মুহূর্তে জেলা শহরে এ ধরনের সুবিধা বেশি প্রয়োজন। এদিকে হবিগঞ্জে করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য হোটেল বুকিং করেছে জেলা প্রশাসন। এ পরিস্থিতিতে হোটেলে থেকেই হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তারা।

হাসপাতালের চিকিৎসকসহ ৬১ জন স্টাফ সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। একজন ডাক্তার টানা এক সপ্তাহ আইসোলেশন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি সেখানেই থাকা একটি রুমে রাত্রিযাপন করবেন। এক সপ্তাহ পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে করোনা পরীক্ষার জন্য। এ সময় তিনি চলে যাবে হোটেলে। সেখানে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। পরে রিপোর্ট আসলে যদি নেগেটিভ হয় তাহলে বাসায় ফিরতে পারবেন এবং পুনরায় রোস্টারে তার ডিউটি থাকবে। আর পজিটিভ হলে হোটেলেই প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকবেন এবং সেখানে চিকিৎসা চলবে।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অমিতাভ পরাগ তালুকদার জানান, হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়ি রোডস্থ আশরাফ জাহান কমপ্লেক্সে সোনার তরী হোটেলের তৃতীয় তলা চিকিৎসকদের জন্য বুকিং দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো একটি হোটেল বুকিং করা হবে।

হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাস জানান, হাসপাতালটিতে সর্বমোট ৩১ জন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। সদর হাসপাতালের কর্মরত ২১ জন, শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের চারজন বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতাল থেকে আসা ছয়জন। এদের আবাসনের জন্য প্রশাসন হোটেল বুক করেছে।

গত বুধবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক মাইক্রোবাসচালককে হবিগঞ্জ আড়াই শ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তার নমুনা সংগ্রহের পর ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছিল। শনিবার রিপোর্ট আসলে জানা যায়, তার শরীরে করোনা পজিটিভ।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com