মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট রক্ষকে ভক্ষক, তাই উন্নয়ন হয় না গ্রামীণ জনজীবনে, উন্নয়ন কাগজে ও কলমে দেশ ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে: ড. ইউনূস মোহাম্মদপুর তুরাগ হাউজিংয়ের মাদক সম্রাজ্ঞী আসমা গংদের বেপরোয়া মাদক বানিজ্য দেখার কেউ নেই! :পর্ব -১ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসি বিএনপি নেতা আলহাজ্ব কবির আহমেদ ভূঁইয়া মির্জাগঞ্জে কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ রাজধানী ভাষানটেকে আগুন: ফায়ার সর্ভিসের ২ ইউনিটের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে চার মাস দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর ১২৩ সদস্য হতাহত নওগাঁর নিতপুরে কীটনাশক প্রয়োগে তিন লক্ষাধীক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা ঈশ্বরদী টিভি রিপোর্টার্স ক্লাবের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি চ‍্যানেল এস এর বায়েজিদ, সম্পাদক বিজয় টিভির সবুজ
খালেদার সাজার পরেও যে কারণে হরতাল দেয়নি বিএনপি

খালেদার সাজার পরেও যে কারণে হরতাল দেয়নি বিএনপি

দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজার রায়ের প্রতিবাদে দলটির নেতাকর্মীরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন। দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রথম দিনে শুক্রবার বিএনপির এসব বিক্ষোভ থেকে বড় রকমের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা নির্বাচন সামনে রেখে তাদের দলের নেত্রীর পক্ষে মানুষের সহানুভূতি এবং জনসমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচির দিকে না গিয়ে তাদের নেতা কর্মীদের মাঠে সক্রিয় রাখতে চাইছে।

বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি নিতে পারে, তা নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁরা এ মুহূর্তে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি না দিয়ে রাজনৈতিকভাবে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি নিয়ে এগুতে চান। একইসাথে তাঁরা তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আইনগত লড়াইও চালাবেন বলে তিনি জানান।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এবং পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলন যে সহিংস রূপ নিয়েছিল, এবার বিএনপি সে ধরনের আন্দোলনের দায় নিতে চায় না।

একইসাথে খালেদা জিয়ার মামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সারাদেশের নেতা কর্মীরা সক্রিয় হয়েছে, সেটাকেও দলটি কাজে লাগাতে চাইছে। এসব বিবেচনা করে বিএনপি এখন মিছিল বা জমায়েত করার মতো কর্মসূচি নিয়েই এগুতে চাইছে।

বিএনপি নেত্রীর পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে রবি-সোমবারের মধ্যে তাঁর আইনজীবীরা আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, আপিল করা হলে অল্প সময়ের মধ্যেই খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেতে পারেন। তবে দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।

অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, তাদের নেত্রী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আইনজীবীদের সাথে যতদূর আলোচনা করেছি, এই সাজার মাধ্যমে শেষপর্যন্ত আমাদের নেত্রীকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যাবে না। এটা তারা করতে পারবে না। এটা সম্ভব হবে না।’

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জেনারেল এরশাদের আমলে কয়েক বার বন্দী হয়েছিলেন। বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি এক বছরের বেশি সময় জেলে ছিলেন। কিন্তু এবারই প্রথম তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে গেছেন। সেটা বিএনপির রাজনীতি কী প্রভাব ফেলবে, সেই প্রশ্নও উঠছে।

কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, তাঁরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো না। বরং আমরা মনে করি যে, আমরা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবো। কারণ বেগম জিয়াকে আজকে যে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে, এটি জনগণ মেনে নেয়নি এবং মেনে নেবে না।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com