বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি: মেম্বারের পক্ষে নির্বাচন না করায় সরকারের করোনায় দুর্ভোগে পড়া ত্রান সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হয়েছে একই ব্র্যাকে বসবাসকারী প্রায় সাড়ে চার শতাধিক মানুষ। উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের মোংলা নারকেলতলা আবসন প্রকল্পের ৭৫ ব্র্যাকের করোনা ভাইরাসে দুর্ভোগেপড়া এ সকল অসহায় ও কর্মহীন মানুষগুলো সকল প্রকার ত্রান বা খাদ্য সামগ্রী থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। মঙ্গলবার সকালে সময় টেলিভিশনের সংবাদকর্মীদের দেখেই এমন অভিযোগ করেন আবাসনে বসবাসকারী অসহায় নারী পুরুষ ও শিশুরা।
আবাসনে বসবাসকারীদের অভিযোগ, চাদঁপাই ইউনিয়নের নারকেলতলা এলাকায় পাশাপাশী চারটি আবাসন প্রকল্প। সেখানে একটিতে (৭৫ ব্র্যাকে) থাকা প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষের বসবাস। করোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে ত্রান দেয়ার কথা বলে স্থানীয় ইউপি সদস্যের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেয়া হলেও সরকারী বা বেসরকারী ত্রান সামগ্রী থেকে বঞ্চিত রয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ, সরকারী ও এনজিওদের খাদ্য সামগ্রী দিবে এমন আশ্বাসের প্রায় দুই মাস যাবত প্রতারনা করে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার ও তার সহযোগীরা। এব্যাপারে কোন প্রতিবাদ করলে তাদের উপর নেমে আসে হামলা ও অত্যাচার। আর ত্রান না পাওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে অসহায় এ মানুষগুলো পরেছে চরম বিপদে। আবাসনের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম জানায়, সকলের সাহায্যের জন্য ত্রান সামগ্রী না পাওয়ার বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নানকে জানালে তিনি তৎক্ষনিক ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলামকে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। চেয়ারম্যান স্থানীয় ইউপি মেম্বারকে জানালে অভিযোগকারীর স্বামীকে বাজারে ডেকে বেধরক মারপিট করে মেম্বারের সহযোগীরা। সরকারী বা বেসরকারী কোন সহায়তার জন্য অন্য কোথাও অভিযোগ করবেনা এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা পায় বলে জানায় এ ভুক্তভোগী নারী।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হারুন মল্লিকের দাবী, অন্য তিনটি ব্র্যাকের কর্মহীন ও খাদ্য সংকটে পড়া লোকজনকে কিছুটা ত্রান সামগ্রী দেয়া হয়েছে আর ৭৫ ব্য্রাকে বসবাসকারীদের একটি এনজিওর পক্ষ থেকে ভাল মানের খাদ্য সামগ্রী দেয়ার জন্য তালিকা দেয়া হয়েছে। ওখান থেকে পেলেই আর কোন অভিযোগ থাকবেনা বলে জানান এ ইউপি সদস্য। মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান জানান, নারকেলতলা আবাসনে ৭৫ ব্র্যাকের ত্রান না পাওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। তবে ওই আবাসনে বসবাসকারীরা ক্যানো এখনও সরকারী ভাবে খাদ্য সামগ্রী পায়নী এব্যাপারে খোজ নিয়ে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ, নারকেলতলা ৪টি আবাসনে প্রায় আড়াই হাজার লোকের বসবাস কিন্ত করোনায় কর্মহীন হয়ে পরা সকলেই কমবেশী ত্রান সামগ্রী পেলেও ৭৫ ব্র্যাকের সবাই বঞ্চিত সকল প্রকার ত্রান সহায়তা খেকে।