বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
ইব্রাহিম সুজন, স্টাফ প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ বেধরক মারপিট করে হাঁড় ভেঙ্গে
দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার উপজেলার ডুগডুগী
বড়গাছা গ্রামে। এ ঘটনায় ৮জনকে আসামীর শ্রেণী ভুক্ত করে ডোমার থানায় লিখিত
এজাহার করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে,২০২০ সন্ধ্যায় মামলার আরজিতে অভিযুক্ত
ওই এলাকার রমানাথ চন্দ্র রায় এর ছেলে ডালিম চন্দ্র রায়, শ্রী বুলু রায়ের
স্ত্রী ললীতা রানী রায়, ডালিম চন্দ্র রায়ের স্ত্রী নিরালা রানী রায়,
রমানাথ রায়ের অপর ছেলে শ্রী কৃষ্ণ রায় ও শ্রী কৃষ্ণ রায়ের স্ত্রী রত্না
রানী রায়, শ্রী নিভারণ চন্দ্র রায় এর ছেলে রমানাথ চন্দ্র রায় একত্রিত হয়ে
ওই এলাকার মৃত রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে বিমল কুমার রায়কে একাকী পেয়ে পূর্ব
শত্রুতার জেরে বেধরক মারপিট করে। এতে বিমল চন্দ্র রায়ের বাম হাতের কব্জির
হাঁড় ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
বিষয়টি নিয়ে মৃত রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে ভুক্তভোগী বিমল কুমার
সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, “তাঁর প্রতিবেশী রমানাথ চন্দ্র রায় এর ছেলে
ডালিম চন্দ্র রায়, শ্রী বুলু রায়ের স্ত্রী ললীতা রানী রায়, ডালিম চন্দ্র
রায়ের স্ত্রী নিরালা রানী রায়, রমানাথ রায়ের অপর ছেলে শ্রী কৃষ্ণ রায় ও
শ্রী কৃষ্ণ রায়ের স্ত্রী রত্না রানী রায়, শ্রী নিভারণ চন্দ্র রায় এর ছেলে
রমানাথ চন্দ্র রায়দের সাথে মনোমালিন্যতা চলছিল। গত ৯ মে সন্ধ্যায় তারা
আমাকে একাকী পেয়ে হাতে লাঠিসোডা দ্বারা বেধরক মারপিট করে। আমার
আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে প্রাণে রক্ষা করে। তারা আমাকে
মারপিট করে আমার বাম হাতের কব্জির নিচে হাঁড় ভেঙ্গে দিয়েছে। মারপিটের ফলে
আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে, স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়। আমি সেখানে চিকিৎসা গ্রহণ
করি। বর্তমানে আমি আমার বাম হাত দিয়ে কোন কাজ কর্ম করতে পারছি না”।