নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত পোহালেই ঈদ। করোনার কারণে লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ ও পথে পথে চেকপোস্ট এড়িয়ে ফেরিসহ বিভিন্ন উপায়ে পদ্মা পার হয়ে আসছেন দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। ফলে রোববার (২৪ মে) ভোর থেকেই যাত্রীদের চাপ বেড়েছে শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে।
এছাড়াও কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পদ্মা পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ পরিবহন। রয়েছে ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপও।
রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানী থেকে বের হওয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট যেমন গাবতলী, আবদুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। গণপরিবহন না থাকায় বিকল্প উপায়ে ঢাকা ছাড়ার বিভিন্ন সন্ধান করছেন এসব ঘরমুখো মানুষেরা।
এদিনও প্রাইভেটকার এবং মাইক্রোবাস ভাড়া করে বাড়ির পথে পারি জমাতে দেখা যায় অনেককেই। অনেকেই আবার একত্রিত হয়ে এসব যানবাহন ভাড়া করে যাত্রার উদ্যোগ নেন। তবে বেশিরভাগই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন।
যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা কাঁচপুর ব্রিজ এবং মাওয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। গাবতলীর আমিন বাজার ব্রিজের হেমায়েতপুর অংশ থেকে এ ধরনের যানবাহন দেখা যায় আরিচা ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে। অন্যদিকে, আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর, টাঙ্গাইল এবং বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর উদ্দেশ্যে কিছু যানবাহন ছেড়ে যেতে দেখা যায়।
যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা তৌহিদ পাভেল বলেন, এখান থেকে মাইক্রোবাসে করে মাওয়া ঘাট যাবো। সেখান নদী পার হয়ে একটা কিছু পাওয়ার চেষ্টা করবো। এভাবেই চলে যাবো।
এত ঝুঁকি নিয়ে কেন যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে পাভেল বলেন, দুই মাসের বেশি সময় ধরে একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। শুরু থেকেই মা বলছিল যেন বাড়ি চলে যাই। আর পারছি না। ঈদটা অন্তত মা’র সঙ্গে করলে আমাদের বাড়ির সবার মন ভালো থাকবে।
এদিকে, রাজধানীর উত্তরা আবদুল্লাহপুর এলাকায় দায়িত্বরত ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসাদ উল্লাহ বলেন, আজও এ রুটে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের চাপ রয়েছে। শেষদিন হওয়ায় রাজধানী থেকে বিভিন্ন পণ্যের খালি যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে। এসব কোনো গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টা আমরা দেখছি। এমনিতে সবকিছু স্বাভাবিক আছে।