শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
হেল্থ ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যাকসিন বা টিকার মানবশরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (হিউম্যান ট্রায়াল) শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। আগামী কয়েক সপ্তাহে অন্তত ৩০০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনটি উদ্ভাবন করেছে ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে প্রয়োগের মাধ্যমে এর পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর আগে পশুর শরীরে প্রয়োগের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।
চলতি মাসের শুরুতে আরেকটি ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনা প্রতিরোধে অন্তত ১২০ টি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে।-খবর বিবিসি ও ইনডিপেন্ডেন্টের।
ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের করোনা ভ্যাকসিনটি তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক রবিন শ্যাটোক ও তার সহকর্মীরা। আগামী কয়েক সপ্তাহে অন্তত ৩০০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
এর আগে পশুর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হলে তা নিরাপদ ও শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যথেষ্ট কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
অধ্যাপক শ্যাটোক বলেন, আমরা একেবারে শূন্য থেকে যাত্রা করে একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছি এবং অল্প কয়েকমাসের মধ্যেই মানবশরীরে পরীক্ষায় নামতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, যদি আমাদের এই প্রচেষ্টা কাজে আসে এবং ভ্যাকসিনটি করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দেয়, তবে ভবিষ্যতে কোনো মহামারি প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে আমরা কিভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো, সেক্ষেত্রে এটি হবে বৈপ্লবিক।
ইমপেরিয়াল কলেজের এই ভ্যাকসিন প্রথম প্রয়োগ করা হয় স্বেচ্ছাসেবী ক্যাথির শরীরে। ৩৯ বছরের এই নারী একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে সামিল হতে শরীরে ভ্যাকসিন নেন ক্যাথি।
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে বুঝতে পেরেছি যে, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত মানুষের জীবন স্বাভাবিক হবে না। সেই উপলব্ধি থেকেই এই অগ্রসরমূলক কর্মকাণ্ডে (ভ্যাকসিনের ট্রায়াল) অংশ নিয়েছি।’
ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষকরা বলছেন, পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে আগামী অক্টোবরে ৬ হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ২০২১ সালের শুরুতে যুক্তরাজ্য ছাড়াও অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোতে করোনার এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হবেন তারা।