সোমবার, ১৪ Jul ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর খিলক্ষেত ও কক্সবাজারের টেকনাফে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে ‘সন্ত্রাসীদের’ কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার কুড়াতলি এলাকায় ডিবির সঙ্গে এবং একই দিন দিবাগত মধ্যরাতে কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘ইয়াবা কারবারিদের’ এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ খিলক্ষেতে নিহত হয়েছেন দুইজন। প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, তারা দুজনই ছিনতাইকারী। আর টেকনাফে নিহত দুই রোহিঙ্গার নাম মো. আলম (২৬) ও মো. ইয়াসিন।
মো. আলম কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে অবস্থিত ৫ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের মো. শফির ছেলে। আর মো. ইয়াসিন একই উপজেলার ২ নম্বর বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা মো. এরশাদ আলীর ছেলে।
রাজধানীর খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহানের ভাষ্যমতে, রাতে ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়ে। তাদের থামতে বলা হলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ছিনতাইকারী ও গোয়েন্দা পুলিশের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে দুই ছিনতাইকারী নিহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ২ বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান, পিএসসি-এর ভাষ্যমতে, রাতে হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ অবরাং গ্রামের নানীরবাড়ি (স্থানীয় নাম) এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল ওই এলাকার নাফ নদীর তীরে অবস্থান করে। মধ্যরাতে টহলদল দূর থেকে দুই-তিনজন ব্যক্তিকে সাঁতার কেটে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। তারা নদীর তীরে ওঠার সাথে সাথে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাদেরকে ধাওয়া করলে ‘ইয়াবা পাচারকারীরা’ বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন। এরপর বিজিবিও গুলি চালালে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজিবির দাবি, নিহত দুইজনই ইয়াবা কারবারি এবং ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও নিহতদের কাছ থেকে একটি চায়নিজ পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।