শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

ফুঁসে উঠেছে তিস্তা: বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি

ফুঁসে উঠেছে তিস্তা: বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি

ইব্রাহিম সুজন: টানা ভাড়ী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ী ঢলে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। হু-হু বেড়েই চলেছে তিস্তার পানি। এতে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টের আশপাশ এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে।
ক্রমাগত তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
উত্তরাঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উজানে ভয়াবহতার কারনে ভারত লালসংকেট জারী করায় বাংলাদেশ অংশের তিস্তা ব্যারাজের উজানের ২০ কিলোমিটার ও ভাটির অংশের ৪৫ কিলোমিটার মোট ৬৫ কিলোমিটার তিস্তা এলাকায় তিস্তায় লাল সংকেট দেয়া হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের কর্মকর্তারা নজরদারীতে মাঠে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে উজানের ঢলে তিস্তায় চতুর্থ দফায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় তিস্তা অববাহিকার বিশেষ করে চরবেষ্টিত গ্রামের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। তিস্তাপাড়ের বসবাসকৃত পরিবারগুলো দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে তারাও প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সঙ্গে নিয়ে উঁচু স্থানে সরে যেতে শুরু করেছে বলে জানালেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূবছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী ও ঝুনাগাছচাঁপানীর ইউপি চেয়ারম্যানগন।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, পরিস্থিতি ভাল না। উজানের ঢল প্রচন্ড ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এবার ভয়ংকর বন্যা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই চর এলাকার ১৪টি পরিবারের বসতভিটায় থাকা ঘর-বাড়ী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। আরো যে সব পরিবার পানি বন্ধি অবস্থায় আছে তাঁদেরকেও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যহত আছে।
ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানান, আমরা সর্বাতক সর্তক রয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তিস্তা অববাহিকার চর ও চর এলাকার গ্রামের পরিবারগুলোকে নিরাপতে সরিয়ে আনা হচ্ছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com