বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা বাজারে রিয়াজুল করিম (দাদুল) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় চোখ হারাতে বসেছে সামসুল হক নামে এক বৃদ্ধ। দাদুল নামে ওই চিকিৎসকের কোনো সনদ পত্র না থাকলেও তার পরামর্শ পত্রে নিজেকে জেনারেল প্রাকটিশনার ও চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। চক্ষু চিকিৎসকদের মতে সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার কারণে সামসুল হক নামে ওই বৃদ্ধের চোঁখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। বাউরা ইউনিয়নের জমগ্রাম এলাকার আব্দুল করিমের পুত্র দিনমজুর সামসুল হক জানান, প্রায় এক মাস আগে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় তার ডান চোঁখে কোনো কিছু পড়ে। পরে চোঁখের সমস্যা দেখা দিলে বাউরা বাজারের পল্লী চিকিৎসক ডাঃ রিয়াজুল করিম (দাদুল)’র চিকিৎসা গ্রহন করেন। দু’ দফা ঔষধ পরিবর্তন করে দেয় ডা. দাদুল। সামসুল হককে বলা হয় তার চোখের মাংস বেড়ে গেছে। কিন্তু ওই চিকিৎসকের চিকিৎসায় তার চোঁখের সমস্যা বেড়ে যায় ও এক সময় চোঁখে কিছুই দেখতে পায় না। পরে তিনি আরডিআরএস’র চক্ষু চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্র’র স্বরণাপন্ন হন। চোঁখ পরীক্ষার পর সামসুল হককে চক্ষু চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্র জানান ভুল চিকিৎসায় তার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। তাকে উন্নত চিকিৎসার পরার্মশ দেন ওই চক্ষু চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্র।
সড়ে জমিনে বাউরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, একটি টিনের চালায় চেম্বার দিয়ে বসেছেন ডা. রিয়াজুল করিম (দাদুল)। নিজের কোনো সনদ পত্র না থাকলেও তার পরামর্শ পত্রে নিজেকে জেনারেল প্রাকটিশনার ও চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন চক্ষু চিকিৎসক দাবীদার দাদুল। যা দেখে অনেকেই তাকে চক্ষু চিকিৎসক ভেবে তার কাছ থেকে চিকিৎসাও নিচ্ছেন। এলাকায় চোঁখের ডাক্তার বলে অনেকেই তাকে চিনেন। ডা. রিয়াজুল করিম (দাদুল) জানান, তার বড় ভাই বাংলাদেশ রেলওয়ের চক্ষু চিকিৎসক ছিলেন। তার সাথে চলাফেলা করে তিনি চক্ষু চিকিৎসার উপর একটু ধারণা নিয়েছেন। সেই ধারণা থেকেই তিনি চিকিৎসা দিচ্ছেন। সামসুল হকের চোঁখের চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। আরডিআরএস বাংলাদেশ’র চক্ষু চিকিৎসক ডা. শ্যামল চন্দ্র বলেন, সামসুল হক নামে এক ব্যক্তি আমার কাছে চোঁখের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। তার ভুল চিকিৎসার কারণে চোঁখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। উন্নত চিকিৎসা গ্রহনের জন্য তাকে আমি রংপুর যেতে বলেছি। পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অরুপ পাল বলেন, বিষয়টি জানলাম। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।