মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
কলা বিক্রির টাকায় বহু কস্টে চলছে আশি বছরের বৃদ্ধ আক্কেল আলীর সংসার। প্রায় দশ বছর যাবৎ বিভিন্ন আড়ৎ থেকে কলা কিনে আক্কেল আলী ঝুড়িতে করে (ডালা) মাথায় নিয়ে পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসলেও বয়সের ভারে নূব্জতার কারনে এখন আর তেমন হাঁটতেও পারেন না। এদিকে করোনার কারণে রাস্তাঘাটে লোকজন কমে যাওয়ায় বেচা বিক্রিও নেই আগের মতো। তাই বহু কস্টে সংসারের হাল টেনে ধরেছেন বৃদ্ধ আক্কেল আলী।
আক্কেল আলী সরদার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গৈলা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স আশি বছর।
হাসপাতালের সামনে কলা বিক্রির আশায় বসে থাকা আক্কেল আলী সরদার জানান, প্রায় দশ বছর যাবত তিনি বিভিন্ন আড়ত থেকে কলা কিনে ঝুঁড়িতে (ডালা) নিয়ে পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কলা বিক্রির আয় ছাড়া অন্য কোন আয় নেই তার। সংসারে রয়েছে তাঁর স্ত্রী। দুই ছেলের মধ্যে একজন ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে অন্য একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছেলেরা সবাই আলাদা সংসার নিয়ে থাকেন। তিন মাস পর পর বয়স্ক ভাতার টাকা পেলেও প্রতিমাসে অভাব অনটনের জন্য নিজের চিকিৎসার ঔষধ কিনেও খেতে পারেন না সময় মতো। গত বছরের লক ডাউন থেকে এই পর্যন্ত স্থানীয় মেম্বর সবুজ বেপারী বা অন্য কোন মাধ্যমেও সরকারী বা বে-সরকারী কোন সাহায্য সহযোগীতাও তার ভাগ্যে জোটেনি।
হাতাশায় নিমজ্জিত বৃদ্ধ আক্কেল জানান, মহামারি করোনা ও লকডাউনের কারনে কলা বেচা- কেনা আগের চেয়ে অনেক কম। আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কলা বিক্রি করতে পারলেও এখন করোনার কারনে অনেকেই বাড়িতে ঢুকতে দিতে চাইছেন না। তাই গ্রামের পরে গ্রাম ঘুরেও সংসারের খরচ আয় করতে পারছেন না তিনি। এভাবে চলতে থাকলে কিভাবে এই সামনের দিনে সংসার চালাবেন তা বরতৈ বলতে নিঃশ^াষ ছাড়ের তিনি। এভাবে দীর্ঘ সময় চলতে থাকলে এক সময় না খেয়েই হয়তো থাকতে হবে তাকে!