সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
খালেদা আক্তার কল্পনা: বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুকূলে এলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একইসাথে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এসএসসি ও এইচএসসির পরিকল্পনা নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য আমরা নতুন পরিকল্পনা করেছি। এ জন্য নতুন তিনটি বিষয়ের উপর নতুন করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হবে। আমরা ৩টি নির্বাচিত বিষয়ের উপর পরীক্ষা নিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর চলতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে বিষয়ভিত্তিক শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর পরীক্ষার সময় এবং পরীক্ষার নম্বর দুটিই কমিয়ে এনে পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারব বলে আমরা আশা করছি। সে অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছি। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গতবছর আমরা এসএসসি পরীক্ষা ফল দিতে গিয়ে যেভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করেছি, সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে এবছর আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে যেহেতু বিষয়ভিত্তিক নৈর্বাচনিক বিষয়ের মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, অর্থাৎ যারা বিজ্ঞান বিভাগে আছে তাদের পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান কিংবা যাদের নৈর্বাচনিক বিষয় হিসেবে গণিত আছে, তাদের এই বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা দরকার। কেননা পরবর্তীতে উচ্চতর ক্ষেত্রে যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যাবে, তাদের কথা বিবেচনা করে এটা জরুরি।
ডা. দীপু মনি বলেন, গতবছরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা তাতে দেখেছি, নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে সংক্রমণের হার অনেক কমে এসেছিল। আর এ বছর যেহেতু টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। সারা দেশে এই টিকা প্রদান এখন চলবে এবং ব্যাপকভাবে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে, টিকাও এখন রয়েছে। কাজেই আমরা আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা প্রদান করা সম্ভব হবে। তার ফলে এবছরও নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে দেশে সংক্রমণের হার হয়তো গতবছরের মতো বা তারও চেয়ে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এ কারণে আমরা উল্লেখিত বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে এসএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও অ্যাসাইনমেন্ট এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি, এসএসসি ও অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। আর কারিগরির ক্ষেত্রে নবম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও মূল্যায়ন করা হবে।