মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
আনিছ মাহমুদ লিমন:
এগারো বছর বৈবাহিক জীবনে দশ বছর স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত শামসুন্নাহার বাবার আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত দশ বছরের শিশু সন্তান শাওন। ঘটনাটি বরিশালের বিমানবন্দর থানার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত্যু আঃ ছাত্তার বেপারির মেয়ে শামসুন্নাহার এর সাথে ২৭/১০/২০১১ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় একই গ্রামের মৃত্যু জালাল মুন্সির ছেলে সজল মুন্সির সাথে সাক্ষী গনের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় বর্তমানে সজল ও শামসুন্নাহার এর দশ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ফুটফুটে শিশুটির অজানা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরেবেড়ানো কিংবা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওর টোল পড়া গালে যেন বিষাদের নকশি আকা।
গত দশ বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমায় শাওনের বাবা সজল মুন্সি। দীর্ঘ দশ বছর হলেও সামান্যতম সময় হয়নি খোঁজখবর নেওয়ার। শাওনের মা সাংবাদিকদের জানান পেটের দায়ে সন্তানকে বাচাতে তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করেছেন সেখানে নিজের অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে নিজের এবং সন্তানের খাবার ও শাওনের মাদ্রাসার পড়াশোনা খরচ জোগাতে হয়।
তিনি আরো জানান তাদের বিয়ের আগে স্কুলে যাওয়ার সময় সজল তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের প্রস্তাব দেন এক পর্যায়ে আমি রাজি হই আমাদের সম্পর্ক গভীর হলে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়েতোলে আমি অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ি, এলাকার সবাই জানাজানি হয় আমাদের সম্পর্ক। কিন্তু সজল ও তার পরিবারের সবাই আমাকে চাপদেয় বাচ্চা নস্ট করতে কিন্তু আমি বাচ্চা নস্ট করিনি এক সময়ে আমার কোল জুড়ে আসে শাওন। এলাকার গন্যমান্য লোকেরা স্থানীয় কাজী সালাউদ্দিন ভূঁইয়াকে দিয়ে আমার আর সজলের বিয়ে পড়িয়ে দেয়। কিন্তু কিছুতেই আমাদের এই বিয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না সজলের বড় ভাই ও বোনেরা। সম্পর্ক বিছিন্ন করতে সুকৌশলে সজলকে পাঠিয়ে দেন ওমানে, অপকৌশলের জয়ে হেরে যায় ফুটফুটে শিশুটির অনাগত ভবিষ্যৎ পথচলা। ঘটনার একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে নিজের ও সন্তানকে ভরন পোষণ এর জন্য ধারস্থ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাত্তার বেপারী, চন্ডিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রব হাওলাদার, ইউপি সদস্য আবুল বাশার খোকন আকন,সাবেক ইউপি সদস্য মুজাম্মেল হোসেন রাঢ়ী, হুমায়ুন চৌধুরী, সবাই মিলে দুই পরিবারে সবাইকে নিয়ে সালিশ বৈঠক করে সেখানে বলাহয় সজলের সন্তান ও তার সন্তানের মা তাদের ঘরে থাকবে প্রতি মাসে তাদের তিন হাজার টাকা করে দিবে। এভাবে ৩/৪ মাস দেওয়ার পড়ে একেবারে বন্ধ করে দেয় টাকা দেওয়া। এখন ছেলেকে নিয়ে অনেক কষ্টে মানবতার জীবন যাপন করছে শামসুন্নাহার।
অসমর্থিক সূত্রে জানাযায়, শিশু শাওনকে একাধিক বার হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন আপন বড়ো চাচা মানিক মুন্সি। এদিকে মেয়ে পক্ষের অভিযোগ বিয়ের কাজী সালাউদ্দিন ছেলে পক্ষের কাছথেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কাবিন নামা গায়েব করে ফেলেছেন। কাজী সালাউদ্দিন কে সাংবাদিকরা মুঠোফোনে ফোন দিয়ে কাবিন নামার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে কোনো কাবিননামা নাই, এই বিয়ের কোন কাবিননামা করা হয়নি সুদু বিয়ে পারানো হয়েছে। কিন্তু শামসুন্নাহার ও তার পরিবার বিয়েতে থাকা সাক্ষীরা বলছেন ভিন্ন কথা তার বলছেন কাবিন হয়েছে আমরা সবাই খাতায় সাক্ষর করেছি। এই ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান পেতে জেলা প্রশাসক, মানবাধিকার সংগঠন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।