রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জালিয়াতি: ভূমি অধিগ্রহণে কোটি টাকার অনিয়ম, দুদুকে অভিযোগ ভুটানকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু:প্রধান উপদেষ্টা এগুলো ‘আফটার শক’, আবারও ভূমিকম্পের ঝুঁকি আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম সাকিব আল হাসানকে এবার দুদকে তলব নরসিংদী চীফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা স্ত্রী-কন্যার ছবি শেয়ার করে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন তারেক রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল কবিতা পড়লে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে কী ঘটে? নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগ

নীলফামারীতে ৯৫% গ্রামীণ রাস্তাগুলোর বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে!

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১
  • ২৯১

ইব্রাহিম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধি:

প্রতিটি গ্রামকে শহরের সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের অনেক আগের। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নগর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ জন্য কৃষি বিপ্লব, গ্রামে বিদ্যুতায়ন, কুটির শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের বিকাশ, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন করে গ্রামাঞ্চলে আমূল পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তার দেখানো সেই পথে হাঁটতেই ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’। অর্থাৎ প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে টানা তৃতীয় পর্বে ক্ষমতায় আসার পর গ্রামকেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। গ্রামকে শহরে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হলেও নীলফামারী সদর উপজেলার গ্রাম-গুঞ্জের প্রায় দু’শত রাস্তার বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এসব রাস্তা সঠিক সময়ে সংস্কার কাজ না করায় বর্ষার সময়ে অতি বৃষ্টির ফলে রাস্তা কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এসব আধা কাচা রাস্তার জনদূর্ভোগ চরমে, যেন দেখার কেউ নেই! চাঁর গ্রাম, ছয়টি মসজিদ, তিনটি বাজার আর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিত্য যাতায়াতের জন্য কাচা রাস্তা। গ্রামের অনেক কিছু বদলে গেছে কেবল বদলায়নি গ্রামের এই কাদা রাস্তাগুলো । রাস্তাটি সংশ্লিষ্ট চাঁরটি গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রাকে পশ্চাদপদ করে রেখেছে। বর্ষা মৌসুমে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে আজও কাঁদেন গ্রামবাসি। যুগযুগ ধরে চরম দুর্ভোগের অবস্থা বিরাজ করলেও দেখার যেন কেউ নেই।

নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের নিমতলী গ্রামের বিধুর মোড় থেকে সম্মূখ হতে নিমতলী বাজার পর্যন্ত  প্রায় দুই কিলোমাটির রাস্তা।  এ মাটির রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চাঁর গ্রামের মানুষ ও তিনটি বাজার আর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার মানুষের নিত্য যাতায়ত । গ্রামের মানুষের অভিযোগ, এই কাচা রাস্তা সংশ্লিষ্ট নিমতলী গ্রামের ৯০ ভাগ মানুষ আওয়ামীলীগ সমর্থক হওয়া সত্বেও রহস্যজনক কারনে আজও রাস্তার দুর্ভোগের কেউ অবসান করছে না।

নীলফামারী উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত । পৌর এলাকার কয়েকটি রাস্তা ইতিমধ্যে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে বিশেষ করে  পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পলাশবাড়ী বাজার থেকে রামগন্জ বাজার পযর্ন্ত কাচা রাস্তাটি অধিকাংশ জায়গায় কাদার কারনে চলাচলের অনুপযোগী ।

অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে এই বর্ষার মৌসুমে এই রাস্তাটিতে এতটাই কর্দমাক্ততা হয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে যে, প্রচন্ডভাবে গ্রামবাসীকে ভোগাচ্ছে। বিশেষ করে বিয়ে শাদি, বয়স্ক মানুষ ও রোগীদের যাতায়াত ও অন্যান্য সামাজিক প্রয়োজনে বাহির থেকে আত্নীয় স্বজনদের আসা যাওয়া সহ নানা কারণে এই রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় রীতিমতো মানহানিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় এই রাস্তাটিতে দ্রুত উন্নয়ন সাধন ও দূর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ ও স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।

নীলফামারী সদর উপজেলার ১নং চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিন চওড়া (গাঠাংটারী)পাড়ায় রহিজের দোকান থেকে কানাইকাটা হরিদাসের বাড়ী  পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কে পথ কাঁচা রয়েছে। বর্ষা হলেই জনসাধারণের চলাচলে রাস্তাটি কাদা হয়ে যায়। যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাটাও কষ্টকর। এরপরও ওই রাস্তা দিয়ে সর্বস্তরের জনগণকে চলাচল করতে হয়। সড়কটি নিয়ে বিপাকে পড়ে সড়ক সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয় সাধারন মানুষ।

এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ রাস্তা সংস্কারে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় গ্রামের সাধারন মানুষের বিষন্নতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এর কারন হচ্ছে এসব রাস্তা দিয়ে সিএনজি বা অটো রিক্সা চলাচল করতে চায় না। গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে এসব ভূক্তভোগী যাত্রীসাধারনের।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেয়াজুল ইসলাম বলেন, গ্রামীন রাস্তাগুলো কাজ করতে গিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। প্রতিবছরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে আমরা যে যে রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গেছে কিংবা সংস্কার করা প্রয়োজন এসব রাস্তার পরিমাপ নিয়ে উপরস্থ কার্যালয়ে পুণসংস্কার এর জন্য আবেদন দিয়ে থাকি। আশাকরি চলমান বর্ষা শেষ হলে পুনরায় এসব রাস্তাগুলোর যে যে স্থানে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা সংস্কার করা হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com