বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: একটানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ‘কোমায়’ থাকার পর জীবনযুদ্ধে হেরেই গেলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম।
সোমবার (৩০ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন চিকিৎসকরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
এর আগে গতকাল ভারতের নাগপুরের হোপ হাসপাতালে কোমায় থাকা নওশাদকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার জন্য অনুমতির অপেক্ষা করে। তবে নওশাদের স্বজনরা তখন লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চায়নি। তাদের দাবি করেছিল, নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পরই সিদ্ধান্ত দিক।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ওমানের মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন তিনি। পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।
চিকিৎসকরা জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদকে সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
হার্ট অ্যাটাকেরও পরও মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানোয় প্রশংসায় ভাসেন পাইলট নওশাদ। তবে এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালেও এমন বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সে সময় বাঁচিয়েছিলেন দেড়শ যাত্রীর জীবন। ওই ঘটনার স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। বৈমানিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএএলপিএ) প্রশংসাপত্র পেয়েছিলেন ৪৪ বছর বয়সে জীবন প্রদীপ নেভা এই বৈমানিক।