বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

ক্রেতারা সাবধান ইলিশে বিষ: নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চিঠি

ক্রেতারা সাবধান ইলিশে বিষ: নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চিঠি

ক্রেতারা সাবধান! ইলিশ মাছে বিষ— এমন তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, মিয়ানমার,

ফিলিপাইন ও ওমান থেকে আমদানিকৃত ‘ইলিশ’ মাছ দেশের বাজারে আসছে।

মিয়ানমার থেকে আনা মাছ টেকনাফে ভ্যাট কাস্টমস্ কমিশনার কার্যালয় ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা মাছ চট্টগ্রাম ও ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আসছে। বেশি মুনাফাজনক হওয়ায় এ মাছ দেদার আমদানি হচ্ছে। শুধু শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে প্রতি মাসে ১ টন মাছ আমদানি হচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বাভাবিক মাত্রায় মাছে (এমজি/কেজি) লেডের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৩ ভাগ হলেও ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ৫ গুণ বেশি সিসা (১ দশমিক ৫৫৯ ও ১ দশমিক ৬৯৯ [এমজি/কেজি]) পাওয়া গেছে। তাছাড়া দ্বিগুণের বেশি ক্যাডমিয়াম (সিডি) পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া মাছের নামে বিষ আমদানি বন্ধে আমদানিকৃত মাছের চালান ল্যাবরেটরি টেস্টের ফলাফল ছাড়া খালাস না করতে অনুরোধ জানিয়ে কাস্টমসেক চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বাংলাদেশ ফুড সেইফটি অথরিটি)। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে ল্যাবরেটরি চালান ছাড়া আমদানিকৃত মাছ খালাস বন্ধ হয়ে যাবে বলে তারা মনে করছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, এ মাছ দেখতে হুবহু ইলিশের মতোই। রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্রেতারা পদ্মার ইলিশ বলে ক্রেতার কাছে চড়া দামে বিক্রি করছেন। বেশ বড় ও চকচকে রুপালি রং দেখে ক্রেতাও খুশিমনে কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।

তবে রান্নার পর পদ্মার ইলিশ থেকে একেবারেই ভিন্ন স্বাদের। পাশাপাশি অনেকটা তেতো ও উটকো গন্ধ। ক্রেতারা জানেন না ইলিশ মাছের নামে গাঁটের টাকা খরচ করে তারা কিনে খাচ্ছেন বিষ। দেশের বাজারে এ মাছটি চন্দনা বা চাঁদিনা নামে বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সমুদ্র ও আকাশপথে আমদানি করে প্রতিদিন দেশের বাজারে বিক্রির জন্য ইলিশ মাছের নামে নিয়ে আসছে বিষ।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্ম-সচিব) মাহবুব কবীর মিলন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ প্রজাতির মাছে সিসা ক্রোমিয়ার ও মারকারি নামের উপাদান পাওয়া গেছে। এ উপাদান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এ মাছ হুবহু ইলিশের মতো দেখতে। একই মাছ কলম্বো সাদ ও গিজার্ড সাদ নামে আমদানি করা হচ্ছে। দেশীয় বাজারে চান্দিনা বা চাঁদিনা নামে বিক্রি হওয়া এ দুটি মাছে ওই হেভি উপাদান রয়েছে। ফলে বাজার থেকে ক্রেতারা টাকা দিয়ে নিজের অজান্তে বিষ কিনে খাচ্ছেন।’

জানা গেছে, নববর্ষের প্রথম দিন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ল্যাবরেটরি টেস্ট ছাড়া মাছের চালান বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর ও টেকনাফে ভ্যাট কমিশনারকে চিঠি দেওয়ার পর মাছ আমদানিকারকরা একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন।

জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে কোনো জনহিতকর সিদ্ধান্ত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিতে পারে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের অনুরোধ আমলে নিয়ে কাজ করলে সমস্যা কেটে যাবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com