সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
আ. মালেক রেজা, শরণখোলা (বাগেরহাট) থেকে: সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি পথ হারিয়ে একের পর এক স্থান পরিবর্তন করে এখনও লোকালয়ে অবস্থান অবস্থান করছে। ৯ মে সোমবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলার পশ্চিম বানিয়াখালী এলাকার আ. হাকিম হাওলাদারের বাড়ির উঠোনে বাঘের গর্জন শুনে আতঙ্কে ঘুম ভাঙ্গে এলাকাবাসীর। এ ঘটনায় পশ্চিম বানিয়াখালী, মধ্য বানিয়াখালী, বাধাল ও ধানসাগর গ্রামের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পশ্চিম বানিয়াখালী এলাকার আ. হাকিম হাওলাদারের বাড়ির উঠোন ও ঘরের দরজার সামনে রয়েছে শতাধিক বাঘের পায়ের ছাপ। বাঘের গর্জন শোনার পওে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়াখালী, মধ্য বানিয়াখালী, বাধাল ও ধানসাগর গ্রামের ও ধানসাগর ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া, পশ্চিম রাজাপুর,পহলানবাড়ি, ধানসাগর, পূর্ব রাজাপুর, পল্লীমঙ্গল এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের নির্ঘুম রাত কাটে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, গত এক ৫ দিন ধরে ধানসাগর ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নে লুকিয়ে থাকা বাঘের সন্ধানে বনবিভাগের কোন কর্মকর্তা বা বনরক্ষীদের বড় ধরনের কোন অভিযান লক্ষ্য করা যায়নি তাই তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
এ ঘটনায় আ. হাকিম হাওলাদারের ছেলে নাঈম জানান, রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে হঠাৎ বাঘের গর্জন শুনে তার মা ঘুম থেকে জেগে ওঠে। এতে পুরো পরিবার বিশেষ করে নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য বনরক্ষীদের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বাঘ আসার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বনবিভাগকে অবহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে রাতে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন খাঁন তার মাছের ঘেরে একটি বাঘ শুয়ে থাকতে দেখেন। পরের দিন ৬ মে রাত ৮টার দিকে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন হাওলাদার গরু খুঁজতে গিয়ে মাঠের মধ্যে বাঘ দেখে ডাক চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে বাঘটি দৌড়ে পালিয়ে যায়।