মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ৬-দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক ৬-দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদই নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি-আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালের ৬-দফা অন্যতম মাইলফলক।’’
রাষ্ট্রপতি আগামীকাল ৭ জুন ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
তিনি ঐতিহাসিক এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘‘৬-দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন,আমি তাদের স্মৃতির প্রতিও জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’’
বাঙালির স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘‘১৯৪৮ সালে বাংলাভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ’৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৭ জুন লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
‘‘শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিকবাহিনী গঠনসহ ওই ৬-দফার মধ্যেই তিনি তৎকালিন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।’’
রাষ্ট্রপতি জানান, ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেফতার করে। তা সত্ত্বেও তিনি (বঙ্গবন্ধু) ৬-দফার দাবি থেকে পিছপা হননি। তার নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারাবাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। শাসকগোষ্ঠী ৬-দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার, নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, ‘‘১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬-দফা দাবির সমর্থনে আওয়ামী লীগের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট চলাকালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মদদে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১১ জন শাহাদত বরণ করেন। আহত ও গ্রেফতার হন অনেকে।’’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।’’
সূত্র: বাসস