রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
পাবনার বেড়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী, অপহরণকারী বাহিনীর প্রধান ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে বেড়া মডেল থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে মুক্তিপণের ৬০ হাজার টাকা, একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ফজর আলী এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, ডাকাতি, খুনি, ছিনতাইকারী শ্রেণির লোক। তাদের ভয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করতে সাহস পায় না।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, বেড়া উপজেলার মোহনগঞ্জ সরদারপাড়া গ্রামের মো. ইকবাল হোসেন তার বড় ছেলে মো. মেহেদী হাসানের (সেনাবাহিনীর সৈনিক) বিয়ের অনুষ্ঠান করার জন্য শনিবার (১৭ মার্চ) দিন ধার্য করেন।
এ বিয়ের খবর পেয়ে ফজর আলী (৩০), ইজ্জত আলী (২৮), মো, সেরেকুল (৩৮), তারেক আলী (৪০), শরিফুল ইসলাম (২৫), সাইদুল ইসলাম (২২), রনজু (২৪), আলামিন (৩২) সহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল মো. ইকবাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে গত শুক্রবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা ছেলেকে অপহরণ করা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইকবাল হোসেনের মেজ ছেলে আব্দুল্লাহ তানভিন তনু (১৭) মোহনগঞ্জ বাজারে নজরুল ইসলামের মুদি দোকানের কাছে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের পেঁচাকোলা নদীর ঘাটে নিয়ে তাকে মারপিট করে মুক্তিপণের টাকা দাবি করেন। তনুর বাবা ইকবাল হোসেন ছেলের মুক্তিপণের ৬০ হাজার টাকা নিয়ে নদীর ঘাটে গিয়ে ফজর আলীকে দেয়। এ খবর পেয়ে বেড়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা এদিক সেদিক দৌড়ে পালাতে থাকে।
এ সময় এলাকাবাসী পুলিশের সহযোগীতায় সন্ত্রাসী ফজর আলীকে আটক করে এবং তার কাছে থাকা মুক্তিপণের ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা ফেলে যাওয়া একটি সুজুকি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। আহত তনুকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটানায় তনুর বাবা ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে বেড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছে।
বেড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, আটককৃত ফজর আলী ও ইজ্জত আলী ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকার চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, অপহরণ, ডাকাতি, খুন, ছিনতাই করে ত্রাসের রাজস্ত্র কায়েম করেছে। পুলিশ তাদের দীর্ঘদিন ধরে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছিল। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত ফজর আলী বাহিনীর প্রধান। এদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, অপহরণ, ডাকাতি, খুন, ছিনতাই করার অপরাধে ১২ থেকে ১৩ মামলা রয়েছে।