বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
শৈত্যপ্রবাহ ও শীতজনিত কারণে শিশু ও বয়স্কদের রোগব্যাধি বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, শীতে নিউমোনিয়া, হাঁপানি, অ্যাজমা, ব্রঙ্কিওলাইটিস (শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত সংক্রমণ বা এআরআই), ডায়রিয়া, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, জন্ডিস ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এসব রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক ও শিশু।
গত পাঁচদিনে এ সাত জেলায় গড়ে ২৭০ জন করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় এআরআইজনিত কারণে ৭১ জন, ডায়রিয়ায় ২২০ জন ও অন্যান্য রোগে ২৩৯ জনসহ মোট ৫৩১ জন রোগী ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।
শীতজনিত কারণে সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে। সাধারণ স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার জানান, শৈত্যপ্রবাহ ও শীতজনিত কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে রোগব্যধি বাড়ছে। তবে গত কয়েকদিন যাবত সাত জেলায় অধিকসংখ্যক রোগী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, শৈত্যপ্রবাহজনিত রোগব্যাধির সঠিক হিসাব সংরক্ষণে জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। সারাদেশের হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা ডাটা ইনপুট দিয়ে সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠাবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্মৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।