রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীর মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবির মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জিরারগাঁও গ্রামে পৌছায়। বাড়িতে তার মরদেহ পৌঁছানোর পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী কাঁকন বিবির মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁকনের একমাত্র মেয়ে সকিনা বিবি।
সকিনা বিবি জানান, আজ বিকেল ৪টায় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে কাঁকন বিবি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাঁকনের মরদেহ তার মেয়ে সকিনা বিবির কাছে হস্তান্তর করে। এরপরে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসমানী হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স কাঁকন বিবির মরদেহ নিয়ে দোয়ারাবাজারের পথে যাত্রা শুরু করে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি হন কাঁকন বিবি।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ৩ মাস বয়সী শিশু সকিনাকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যান কাঁকন বিবি। প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করলেও পরবর্তীতে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। এ সময় পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকার হন এই বীর যোদ্ধা। পরে ছাড়া পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নেন কাঁকন বিবি। রহমত আলীর দলে সদস্য হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধও করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি গুপ্তচরের কাজ চালিয়ে যান।
কাঁকন বিবির এই অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন। কিন্ত তার এ বীর প্রতীক খেতাব এখনও গেজেটভুক্ত হয়নি বলে জানা গেছে।