শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজান মাস শুরু হলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না। ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে নাভিশ্বাস উঠেছে সীমিত আয়ের মানুষের। তবে রমজানের প্রথম দিনই খানিক স্বস্তি মিলেছে ব্রয়লার মুরগির বাজারে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত।
পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি নির্ধারণের পরেই বাজারে এমন নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেল।
আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৪৫-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ৩৫০-৩৬০ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার যেখানে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম ছিল ৩৬০-৩৮০ টাকা।
কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মুরগির দোকানে ভিড় তুলনামূলক কম। রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় মুরগির চাহিদা কমে গেছে। সবজির বাজারেও ক্রেতা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকার বিক্রি হচ্ছে। বাজারের অনেক জায়গায় ২৪০-২৫০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা যায়। আরিফ নামে একজন ক্রেতা জানান, তিনি ২৪৫ টাকা দরে দুটি মুরগি কিনেছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। তারা জানান, আগের তুলনায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। এ অবস্থায় দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডরুমে ‘রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি’ নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়। এতে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, শিগগিরই বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম না কমালে সরকার এগুলো আমদানির পথে হাঁটবে। আর তখন এফবিসিসিআই আপত্তি জানাবে না।