নিজস্ব প্রতিবেদক: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসারে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে যেতে পারে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ফলে সৃষ্ট এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং উদ্ভাবন-নির্ভর সমাজ বিনির্মাণে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি ।গত মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রোথ সামিট ২০২৩’ শীর্ষক সম্মেলনে অন্যতম প্রধান আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্পের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিক প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমেই হবে সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। সরকার প্রযুক্তিগতভাবে স্মার্ট হবে এবং সমাজের সকল স্তরে এর প্রতিফলন হবে।’এ সময় তিনি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থাকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রণয়নের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে অভিহিত করেন। শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তরে প্রযুক্তির প্রসারে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করে দীপু মনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এরই বৈষম্য দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার প্রয়োজন।’
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থান এই তিনটির মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবনে অর্জিত জ্ঞান যাতে কর্মক্ষেত্রে অনুপযোগী হয়ে না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে।তিনি শিক্ষণ ও দক্ষতার ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার সুস্পষ্ট রূপরেখা তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।