মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক
শুক্রাণু ও ডিম্বানুর ব্যবহার ছাড়াই বিশ্বে প্রথম মানব ভ্রুণ তৈরির দাবি করেছে বিজ্ঞানীরা। মার্কিন ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের একটি দল এ দাবি করেন। তবে স্টেম সেলের মাধ্যমে তৈরি এ কৃত্রিম ভ্রুণ এখনো স্বাভাবিক ভ্রুণের মতো পরিপূর্ণতা পায়নি। খবর আল জাজিরা।
গবেষক দলের প্রধান, যুক্তরাজ্যের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক ম্যাগডালেনা জেরনিকা গোয়েৎজ বলেন, ২০২২ সালে তার নেতৃত্বাধীন গবেষক দল ইসরায়েলের ওয়েইজমান ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা করে। সেসময় একটি ইঁদুরের ভ্রুণ থেকে কোষ নিয়ে সেটিতে পুনর্গঠনের (রি-প্রোগ্রাম) মাধ্যমে ভ্রুণে পরিণত করতে সফল হয়েছিলেন তারা।
এরপরই তারা এই একই পদ্ধতিতে কৃত্রিম মানব ভ্রুণও তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করে কাজে নেমে পড়েন। ফলে মানব ভ্রুণ থেকে কোষ সংগ্রহ করে পুনর্গঠনের মাধ্যমে শুক্রানু-ডিম্বানু ছাড়াই নতুন ভ্রুণ তৈরি করেতে সক্ষম হন তারা।
বুধবারের ওই সম্মেলনে জেরনিকা গোয়েটজ আরও বলেন, গবেষণাগারে তারা যে ভ্রুণটি সৃষ্টি করেছেন- সেটিও স্বাভবিক ভ্রুণের মতোই বিকশিত হবে।
তবে যতখানি সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক ভ্রুণে হৃৎস্পন্দন ও মস্তিষ্কের গঠন শুরু হয়, সেসময় পেরিয়ে গেলেও কৃত্রিম ভ্রুণটিতে এখনো এমন কিছু ঘটেনি। ভ্রুণটির বৃদ্ধি-বিকাশ অব্যাহত থাকায় গবেষকরা আশা করছেন, দেরিতে হলেও ভ্রুণটিতে হৃৎস্পন্দন ও মস্তিষ্কের গঠন শুরু হবে।
জেরনিকা গোয়েটজ বলেন, মানব জরায়ুর ভেতরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষেকের পর নিষিক্ত কোষটি ভ্রুণের আকার পেতে ১৪ দিন সময় লাগে। স্বাভাবিক মানবভ্রুণের মতো আমাদের সৃষ্ট ভ্রুণটিও কোষ ও অ্যামনিওন (এক প্রকার ঝিল্লি) আলাদাভাবে শনাক্ত করার পর্যায়ে পৌঁছেছে। সুতরাং সামনের দিনগুলোতে আরও বিকশিত হয়ে এটি একটি পরিপূর্ণ ভ্রুণ হয়ে উঠবে, এটা খুবই স্বাভাবিক।
জেরনিকা গোয়েটজের দাবি, তাদের এ প্রকল্প যদি সফল হয়, তাহলে মানুষের জেনেটিক রোগব্যাধি ও শারীরিক জটিলতার কারণে গর্ভপাত রোধবিষয়ক গবেষণা অনেকদূর অগ্রসর হবে।