মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালী থেকে প্রতিনিধি :নোয়াখালী-৪ আসন সদর ও সুবর্ণচর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ হারিয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে অসাংগঠনিক মন্তব্য করে দেশব্যাপাী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। তাঁর বাজে মন্তব্য থেকে বাদ পড়েননি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিও। একরামুল করিম চৌধুরীর এমন মন্তব্যে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও একক আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ তোলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
যে কারণে এবার নৌকার প্রার্থী মনোনয়নে পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে তাদের দাবি, নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে এই আসনে প্রার্থী মনোনয়নে পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুজ জাহের ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলনসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।
তারা বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর বাহিরে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনকে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে নৌকায় বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছেন।
পরিবর্তনের দাবিতে শনিবার সকালে জেলা শহরের রশিদ কলোনী এলাকায় শিহাব উদ্দিন শাহিনের বাসভবনে ঘরোয়া বৈঠকে মিলিত হয়েছেন সদর ও সুবর্ণচরের বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী। তাদের দাবি, নির্বাচনী এলাকার বাহিরের একজন ব্যক্তিকে জেলা হেডকোয়াটের মতো জায়গায় বার বার দলের মনোনয়ন দিয়ে সাংসদ নির্বাচিত করেও এখানকার সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতারা কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তিনি নিজ এবং নিজের অনুসারীদের উন্নয়ন করেছেন। এতে দল সাংগঠনিকভাবে জিমিয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য এখানে দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তন করে সৎ, দলের ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব নেতা এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি তোলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা বলেন, এখানে জেলা হেডকোয়াটারে দলের একাধিক যোগ্য নেতা আছে, যাদের দল মনোনয়ন দিলে নৌকার জয় নিশ্চিত হবে। তাহলে কেন বাহিরের লোককে মনোনয়ন দেওয়া হবে? পরিবর্তনের পক্ষে দলের সকল নেতাকর্মী এখন ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিল পরিবার। নৌকার বিজয়ে সবাই এক হয়ে কাজ করবেন, এমন প্রতিশ্রুতি নেতাকর্মীদের।