শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদন: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে বেশি বেশি দলকে ভোটের মাঠে নামানোর যে কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা, তাতে এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।
বিএনপি থেকে নেতাদের অনেকে বেরিয়ে এসে নতুন দল গড়বেন, অন্য দলে যোগ দেবেন বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন—আওয়ামী লীগের এমন প্রত্যাশাও অনেকটা আলোচনার মধ্যেই এখনো সীমাবদ্ধ রয়েছে। সংবিধান মেনে ও যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় আওয়ামী লীগ। তবে এই নির্বাচনী যাত্রায় আওয়ামী লীগের সঙ্গী ও প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হবে, এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছে না ক্ষমতাসীন দলটি। অথচ বিএনপিবিহীন ভোটে বেশিসংখ্যক দলকে ভোটে আনা এবং তা তফসিল ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত করার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে বেশি বেশি দলকে ভোটের মাঠে নামানোর যে কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা, তাতে এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। বিএনপি থেকে নেতাদের অনেকে বেরিয়ে এসে নতুন দল গড়বেন, অন্য দলে যোগ দেবেন বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন—আওয়ামী লীগের এমন প্রত্যাশাও অনেকটা আলোচনার মধ্যেই এখনো সীমাবদ্ধ রয়েছে। সংবিধান মেনে ও যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় আওয়ামী লীগ। তবে এই নির্বাচনী যাত্রায় আওয়ামী লীগের সঙ্গী ও প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হবে, এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছে না ক্ষমতাসীন দলটি। অথচ বিএনপিবিহীন ভোটে বেশিসংখ্যক দলকে ভোটে আনা এবং তা তফসিল ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত করার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের।
দলটির নীতিনির্ধারণী একাধিক সূত্র বলছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে, তেমন সম্ভাব্য সময় ধরে নিয়েই কৌশল সাজাচ্ছিল ক্ষমতাসীনেরা। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণা না হওয়ায় বেশিসংখ্যক দল এবং বিএনপির নেতাদের নির্বাচনে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত আছে। কারও কারও মত হচ্ছে—ভোটে অংশগ্রহণকারীদের বিষয়ে ধারণা পেতেই হয়তো রয়েসয়ে তফসিল ঘোষণার চেষ্টা আছে। বিএনপি ও এর মিত্ররা আগামী নির্বাচন বর্জন করতে পারে—এমনটা আওয়ামী লীগের ভাবনায় অনেক আগে থেকেই ছিল। দলটির সূত্রগুলো বলছে, এ জন্য বিকল্প হিসেবে ভোটে অংশগ্রহণ বাড়াতে ১৪–দলীয় জোট ও মিত্রদের বাইরে অনেক ইসলামি দলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতাদের দল থেকে বের করে এনে ভোটে রাখার বিষয়েও তৎপরতা চলছে। লক্ষ্য ছিল তফসিলের আগেই বড় কিছু ঘোষণার মাধ্যমে ভোটের হাওয়া তোলা। এখনো পর্যন্ত বিএনপির সাবেক দুই নেতা সমশের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়া ছাড়া বড় কোনো ঘোষণা আসেনি।
বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ দল ছাড়ছেন—গত সপ্তাহে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এমন বোমা ফাটান। তিনি ঢাকায় দলের সভায় বলেন, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের নেতৃত্বে আরও একটি দল হতে যাচ্ছে। এক দিন পরই মেজর হাফিজ সংবাদ সম্মেলন করে এই কথা নাকচ করে দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কিছুটা পিছিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো বিএনপিতে আছি। তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক নয়।’ আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে মেজর হাফিজ সরকারের উচ্চপর্যায়েে সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেন। এই বৈঠকটি হাফিজের ইচ্ছায় নয়, তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে হয়। এ সময় তাঁর ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়। যদিও মেজর হাফিজ ওই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে বিএনপির নেতারা হুড়মুড়িয়ে না হলেও দলটিতে ভাঙন শুরু হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন তাঁরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কোনো কোনো দল চলে আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছিল। তবে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না।