রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
আকাশে মেঘ জমলেই থাকছে না বিদ্যুৎ, অতিষ্ঠ গ্রাহকরা

আকাশে মেঘ জমলেই থাকছে না বিদ্যুৎ, অতিষ্ঠ গ্রাহকরা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিদ্যুতের চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে সালথা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়িত হওয়ার পড়েও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন। আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুতের লাইন বন্ধ থাকে।

বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি না থাকলেও অদক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদের লাইন সম্পর্কে কোনো ধারনা না থাকায় লাইন সংস্কার করতে দীর্ঘ সময় লাগে বলে অনেক গ্রাহকেরই অভিযোগ। প্রতিদিন বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনায় উপজেলায় ৪৫ হাজার গ্রাহক ভোগ করছে বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজি।

উপজেলায় বিদ্যুতের লাইন সচল রাখার জন্য মাত্র ৩/৪ জন লাইনম্যান দিয়ে গ্রাহক সেবাসহ সংস্কার কার্য পরিচালনা করছে সালথার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সালথা উপজেলার আকাশে মেঘ জমলেই থাকছে না বিদ্যুৎ। রিমালের প্রভাবে গত ২৫ তারিখ রাত থেকেই পুরো সালথায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন করে রাখা হয়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ সব চেয়ে বেশি বেড়েছে।

প্রচণ্ড গরমে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু, বয়স্ক ও শিক্ষার্থীরা। গ্রাহকদের অভিযোগ, গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৭-৮ বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। যে কারণে অটোভ্যান ও রিকশা চালকরা তাদের গাড়িতে ঠিকমতো চার্জ দিতে পারেন না। ফলে দিনের বেলায় অনেক চালককেই ভাড়া টানা থেকে বিরত থাকতে হয়েছে।

তাছাড়া কৃষকদের সেচ দিতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।অন্যদিকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হচ্ছেন তারা। শিক্ষার্থীরাও বিদ্যুতের অভাবে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।

উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা গ্রামের কৃষক হাফেজ মোল্যা বলেন, তীব্র গরমে পাটক্ষেতে কাজ করতে গেলে ঘেমে গোসল করে বাড়িতে আসতে হয়। এমন অবস্থায় বাড়িতে এসে ফ্যানের বাতাসে সবাই তাদের শরীর ঠাণ্ডা করতে চায়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য পাটের ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৭-৮ বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। ফলে এই গরমে কাজ করে বাড়িতে এসে ফ্যানের বাতাস ভাগ্যে জোটে না। তাছাড়া ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে প্রায় গ্রামের বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

অটোভ্যান চালক মো:বুরহান বলেন, আমরা রাতভর অটোভ্যান চার্জ দিয়ে দিনভর ভাড়া টানি। কিন্তু কয়দিন ধরে রাতে ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়িতে পুরোপুরি চার্জ দিতে পারি না। যে কারণে অনেক সময় ভাড়া টানা বন্ধ রাখতে হয়। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

সালথা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি শিক্ষার্থী জান্নাতী জানায়, সন্ধ্যার পর যখন পড়তে বসি, ঠিক তখনই কারেন্ট চলে যায়। এতে আমরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারি না। মোমের আলোতে পড়তে বসে ঘেমে ভিজে গোসল করে ফেলি। শুধু তাই নয়, মশার কামড়েও পাগল হয়ে যেতে হচ্ছে।

সোমবার সকালে সালথা উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম বলেন, সালথায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ৪৫ হাজার। এখানে বিদ্যুতের তেমন ঘাটতি নেই। তবে ওভার লোডের কারণে কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলার গট্টি এলাকায় বিদ্যুতের আরেকটি নতুন সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। সেখানে সাব-স্টেশনের কার্যক্রম চালু করা গেলে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ আর পোহাতে হবে না।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com