রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ অপরাহ্ন
রাজিব হোসেন, শরণখোলা প্রতিনিধি :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা ও সুন্দরবনের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ২৬ মে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১৭ ঘন্টা একটানা তান্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্য্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘুর্ণিঝড় রেমালে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ব্যাপক গাছপালা উপড়ে যাবার পাশাপাশি এ উপজেলা দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। উপজেলার রাজৈর গ্রামে ৩৫/১ পোল্ডারের নির্মানাধীন সুইচ গেট ভেঙ্গে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। ধানসাগর ইউনিয়নের ফজিলা বেগম (৪৮) স্বামী রুহুল আমিন হাওলাদার এক নারীর ঝড়ের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, ২৮ মে মঙ্গলবার সকালে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্যের জামতলা এলাকা ভেসে আসা ২৪টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে মোট ২৬ টি মৃত ও ৮ টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ঘুর্ণিঝড়ে সুন্দরবনে প্রায় ৭ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছাসের কারনে ও দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারের কারনে নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা মিষ্টি পানির পুকুরগুলোতে নবনাক্ত পানি প্রবেশ করায় পানীয় জলের সংকটে পড়েছে।
বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদ্য এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ দূর্গত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন। শরণখোলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন কালে বন্যা কবলিত মানুষের পাসে দাড়ানোর আহবান জানান।