মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কুড়িগ্রাম উলিপুরে নিয়োগ বাণিজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে প্রিন্সিপাল অবরুদ্ধ, দফায় দফায় বৈঠক ও বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় লেখক উৎসবে সন্মাননা পেলেন কবি ও সাংবাদিক মোল্লা মোঃ রানা কসবায় ঈদে মিলাদুন্নবী ও সিরাতুুন্নবী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন আহত দেশ ছাড়ার গুঞ্জন, যা বললেন আসিফ নজরুল ২০১৪ সালে আখাউড়ায় ভোটকেন্দ্রে হত্যার ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ঢাকা কলেজসহ তিন সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ, তিন কলেজে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও রাষ্ট্র-সংস্কার প্রসঙ্গ দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আলেমরা ঐক্যবদ্ধ হলে বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না: জামায়াত ইউনূসকে চুবানো-খালেদাকে ফেলে দেওয়ার হুমকিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
নওগাঁর মান্দায় নিয়ম-বহির্ভূত রেজুলেশন ছাড়াই উপজেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের টিন বিক্রির অভিযোগ

নওগাঁর মান্দায় নিয়ম-বহির্ভূত রেজুলেশন ছাড়াই উপজেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের টিন বিক্রির অভিযোগ

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ :

নওগাঁর মান্দায় নিয়ম-বহির্ভূত রেজুলেশন ছাড়াই উপজেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের টিন বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য জিন্নাতুন নেছা ২৬ মে (রোববার) অভিযুক্ত দুই শিক্ষকসহ দপ্তরির বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন ২৫ নং মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরুচী রানী হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক খায়রুল আলম ও দপ্তরি সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে উপজেলার ২৫ নং মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সময় পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুবিধার জন্য ঢেউটিন দিয়ে তিনটি রুম তৈরি করা হয়েছিল। নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে, টিনের তৈরি তিনটি কক্ষ পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী শিক্ষক পরিত্যক্ত শ্রেণি কক্ষের টিনগুলো গোপনে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষিকা রাতারাতি কিছু পুরাতন টিন ক্রয় করেন।
স্কুলের টিন ক্রেতা ভাঙারি ব্যবসায়ী মামুন বলেন, ‘শিক্ষক খায়রুলের কাছ থেকে সাড়ে তিন মন টিন আট হাজার টাকায় ক্রয় করেছিলাম। এর পর হঠাৎ করে আমাকে পুরাতন টিন কেনার জন্য খায়রুল মাস্টার দুই হাজার ৫০০ টাকা দেন। আমি পুরাতন টিন না পেয়ে তাকে টাকা ফেরত দিয়েছি। তাদের জন্য আমি মিথ্যা বলে ঝামেলায় জড়াতে চাই না।’
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা সুরুচী রানী হাওলাদার বলেন, ‘নিয়ম মেনে টিন বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রিত টিনের টাকা সভাপতির নিকট জমা রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের আর কিছু বলতে চাই না।’
টিন বিক্রির বিষয়টি স্কুলের সভাপতি শামীম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাত থেকে আট হাজার টাকার টিন বিক্রি করে সেই টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ এ বিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অ্যাডওয়ার্ড সরেন বলেন, ‘টিনগুলো গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল। টিন বিক্রয় করে থাকলে তিনি অপরাধ করেছেন। টিন বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নই।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান বলেন, ‘রেজুলেশন বা কোনো প্রকার নিলাম ছাড়াই টিন গোপনে বিক্রয় করার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com