রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ মুসামিয়ার প্রতিবেদন:
যানজট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ গাবতলী বাস টার্মিনালে ট্রাফিক সচেতনতা সভা করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাবতলী বাসটার্মিনাল অডিটোরিয়ামে বাস মালিক সমিতি ও ড্রাইভার সমিতির সদস্যদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে যানজট নিরসনে সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হয়।
গাবতলী বাস টার্মিনালের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।এরমধ্যে রয়েছে-
বাস স্টপেজ ব্যতীত যেখানে সেখানে বাস না থামানো,নির্দিষ্ট স্টপেজে বাস থামানো এবং পার্কিং ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন।পর্যায়ক্রমে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব বাবু রমেশ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব খন্দকার নজমুল হাসান
পিপিএম-বার,
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার( ট্রাফিক) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এ.এফ.এম তারিক হোসেন খান
উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক মিরপুর-বিভাগ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন (চেয়ারম্যান,হানিফ এন্টারপ্রাইজ)
তিনি বলেন,গাবতলি বাস টার্মিনালে কোন চাঁদাবাদি করতে যেন না পারে,
সে বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুলিশের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি ট্রাফিক বিভাগকে অনুরোধ করেন সর্বদা তাদেরকে সহায়তা করে দেশকে সুন্দর সুশৃংখল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব খন্দকার নজমুল হাসান বলেন,ঢাকা একটি মেগাসিটি। এর জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২৪ লক্ষ। যা অনেক দেশের মোট জনসংখ্যা চেয়ে বেশি। আমরা প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক উন্নত। কিন্তু আমাদের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সাথে প্রায় সকলেই জড়িত। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নির্ভর করে ট্রাফিক নিয়ম-নীতি মেনে চলার উপর। এজন্য প্রয়োজন ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।’
খন্দকার নাজমুল হাসান আরও বলেন, পোশাক খোলার পর আমিও একজন সাধারণ যাত্রী আমি নিজেও গণপরিবহনে চলাচল করি।
নিয়ম মেনে নেওয়াকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মনে করি।
চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রয়োজন ব্যতীত হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকি। ডিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকি। আমাদের সবাইকে ট্রাফিক আইন ও নিয়ম-নীতি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’ সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য যা যা করা প্রয়োজন পুলিশ তাই করবে উল্লেখ করেন খন্দকার নাজমুল হাসান।
জনাব এ.এফ.এম তারিক হোসেন খান বলেন, পরিবহন সেক্টরের শৃঙ্খলায় ফিরতে গাড়ির মালিক,চালক,শ্রমিক আরেকটি পক্ষ যারা গণপরিবহন ব্যবহার করেন এবং সাধারণ জনতা এদের সবাইকেই সচেতন হতে হবে। আইন মেনেই চলতে হবে।সবার সহযোগিতা নিয়ে ট্রাফিকের শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করবেন বলেও তিনি জানান।
সভায় অংশগ্রহণকারী সহস্রাধিক মালিক সমিতির সদস্য ও চলকদের ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের পক্ষ হতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও করা হয়।