শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের উমেদার -ইমরানের সম্পদের পাহাড়, দেখার কেউ নেই। এই ইমরানের চলাফেরা জীবন যাপন আলিশান। তার প্রাইভেট কার, ফ্যামিলি নিয়ে প্রতি বছর প্লেনে করে ইন্ডিয়া ঘুরতে যান, রয়েছে বাড়ি, গাড়ি, ফ্লাট, দোকান।
এই ইমরান দীর্ঘ ১০ বছর যাবত শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত আছে। অথচ এই উমেদার ইমরানের রয়েছে তেজগাও কলোনী বাজার শিল্পাঞ্চল থানার পিছনে দুটি দোকান যা ইমরানের নামে। ইমরানের বাবা ইয়ার আলী তার নামে রয়েছে টঙ্গীতে বাড়ি।
এছাড়া গাজীপুরে রয়েছে অনেক খালি জায়গার ও প্লট। তার বাবা ইয়ার আলীর নামে অনেক সম্পত্তি। এই ইমরানের রয়ছে কদমতলী থানার ৬৫ নং ওয়ার্ড, হোল্ডিং নাম্বার ২৫২/৩ মেরাজ নগর, বি- ব্লক মেইন রোডের পাশেই এই হোল্ডিং নাম্বারের পাশেই ১০ তলা ভবন সেখানে রয়েছে জায়গার মালিকানা সহ একটি ফ্লাট। যার দলিলের অংশ মোতাবেক মাতুয়াইল মৌজা আর এস ২৫ নং সিটি জরিপ ২০ নং খতিয়ান যার, সি এস -৩৩২,এস এ নং -১৫৪, দীর্ঘ ১০ বছর যাবত শ্যামপুর অফিস তার আওতায় নিয়ে একরকম জিম্মি করে রেখেছে ওমেদার ইমরান ও তার সিন্ডিকেট।
এক কথায় শোনা যায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের সুপারিশেই তার চাকরি হয় এই শ্যামপুর সাব-রেজিস্টার অফিসে, এখনো বহাল তবিয়তে আছে ইমরান। যেখানে ৬০ টাকা বেতন পেয়ে সংসার চালানোই দায়, সেখানে এই উমেদার ইমরান কি করে এত টাকার মালিক হলো! শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ইমরানের কথা ছাড়া কোন কাজই হয় না, ওমেদার ইমরানের সাথে সাব রেজিস্টার এর বন্ধুর মত সম্পর্ক। আর এই উমেদার ইমরানের রয়েছে আরও দুইজন সহকারী এবং রান্না করে খাওয়ানোর জন্য আলাদা লোক আছে, মাসে ১,৫০,০০০ দের লক্ষ টাকা খরচ হয় তাদের বেতন ও বাজারে।
ইমরান ওই সাবরেজিস্টারের বাসায়ও যান, এবং খাওয়া দাওয়াও করেন, এই যদি হয় একটি সাব রেজিস্টার এর আচরণ ও উমাদারের ভালোবাসা, এইসব দেখে বাকি অফিসের লোকজন সবাই হতাশ।
এই যদি হয় শ্যামপুর সাব-রেজিস্টার অফিসের বস উমেদার এর সম্পর্ক। এ বিষয়ে একাধিক আরও লোকজন জানায়, এই ইমরান বিগত দিনে, অনেকের সাথেই মারামারি করেছেন। স্বররাস্ট্রমন্ত্রী নাম ভাংগিয়ে অনেক অপকর্ম চালিয়ে গেছেন যা কেউ কিছু বলতে পারিনি। কোনদিনই যা এই অফিস শ্যামপুরে আসার পর সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। ইমরানের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে, তাকে চাকরি থেকে চলে যেতে হয়। কারণ শ্যামপুর সাব রেজিস্ট্রার এর অফিসের আস্থা ভাজন ইমরান। সাব রেজিস্টার যখন বাসায় যান, তার সাথে এই ইমরানও যান, কারো কথা শোনেন না সাব রেজিস্টার, শুধু শুনেন জমিদার ইমরানের কথা। এই ইমরান, দুই হাজার তিন হাজার, এক হাজার, চার হাজার পাঁচ হাজার, টাকা দেন সাংবাদিকদের, এ অভিযোগ ও আমাদের কাছে আছে।
এ বিষয়ে ইমরানের বক্তব্য চাইতে গেলে তিনি বলেন, আমার নাম ইমরান, আপনাদের মত অনেক সাংবাদিক, আমার হাতে আছে, আপনার এক দুই হাজার টাকা লাগলে বলেন, আমি দিয়ে দিব, আপনার নাম্বারটা বলেন, বিকাশ। যা আমাদের কাছে রেকর্ড আছে।
এই যদি হয় একটি সরকারি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের, অবস্থা তাহলে সাধারণ মানুষ কি করবে, একজন ৫ম শ্রেণীর পাশ ছেলে, যদি অফিসের বস হয়, তাহলে যারা এটার অনার্স পাস করে চাকরি করেন, অফিসের নকল নবিশ তাদেরও শুনতে হয় ইমরানের কথা।
এ বিষয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এই শ্যামপুর অফিসের দুর্নীতি নিয়ে, কর্তৃপক্ষের কোন টনক নড়ছে না। কারো কোনো দৃষ্টি নেই এই বিষয়ে এবং আমাদের কাছে উমেদার ইমরানের আরো অভিযোগ আছে। অফিসের মেয়েদের সাথেই তার অবৈধ সম্পর্ক ও পরকিয়া। যারা তাদের কথা শোনে না, তাদেরকে অফিসিয়ালি বিপদে ফেলায়, তারপর তাদের হাতে আনে। যদি ইমরানের সিন্ডিকেটের হাতে না আসে, তাহলে চাকরি ছেড়ে অনেকই যেতে হয় অন্য অফিসে।
এ ধরনের ঘটনাও ঘটেছে বিগত দিনে, তাই আমরা বলবো, এ সকল দুর্নীতিবাজ উমেদার, এদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। সঠিক তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে অনেক রহস্য। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসতে পারে, বাংলাদেশের বাইরে ও থাকতে পারে তার সম্পত্তি।
ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, এই ইমরানের কথা ছাড়া কোন দলিল হয় না। কোন দলিল লেখক যদি দলিল করতে যায়, তাহলে সাব রেজিস্টার বলেন, যে ইমরানের সাথে কথা বলেন। কারণ, শত শত দলিলে ইমরানের সাক্ষর থাকে।
দলিল লেখক এর কথা, আমরা দলিল করব ইমরানের সাথে কেন কথা বলব। কারণ সাব রেজিস্টার ইমরানের কথা ছাড়া কোন দলিল করেন না, বিগত দিনে এই ইমরানকে নিয়ে অনেক মারামারি হয়েছে। যা সাব রেজিস্টার নিজে যে থানায় আপোস করেছেন। শ্যামপুরের সিসি ক্যামেরা চেক করলে বেরিয়ে আসবে অনেক রহস্য।
এই ইমরানের সিন্ডিকেট জোরে কথা বলতে পারতেছেন না দলিল লেখকরা। কারণ সাব রেজিস্টার ইমরানের কথা ছাড়া কোন দলিল করে না,জনস্বার্থে সংবাদটি প্রকাশ করতে চাই। দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক, চাঞ্চলক্ষ্যর তথ্য ও ছবি আগামী সংখ্যায়…