সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইপিজেডে দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ২০ মির্জাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিএনপি নেতা সাঈদ সোহরাব-এর কম্বল বিতরণ অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত: ড. ইউনূস বাকলিয়ায় সানরাইজ গ্রামার স্কুলের ২৫তম শাখার শুভ উদ্বোধন মাস ব্যাপি পর্যটন মেলা উদ্বোধন হয়েছে কুয়াকাটায় যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবানলে পালাচ্ছেন মানুষ, পুড়ে ছাই ১১০০ ঘরবাড়ি সিরাজগঞ্জে টাকাসহ তিন ছিনতাইকারী আটক সিরাজগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আটক উত্তরায় শীতবস্ত্র বিতরণে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাই ভূঁইয়ার মানবিক উদ্যোগ পোশাকে বাবার বিধিনিষেধ, কীভাবে শোবিজে এলেন প্রিয়াঙ্কা?
মোহাম্মদপুর তুরাগ হাউজিংয়ের মাদক সম্রাজ্ঞী আসমা গংদের বেপরোয়া মাদক বানিজ্য দেখার কেউ নেই! :পর্ব -১

মোহাম্মদপুর তুরাগ হাউজিংয়ের মাদক সম্রাজ্ঞী আসমা গংদের বেপরোয়া মাদক বানিজ্য দেখার কেউ নেই! :পর্ব -১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নানা ধরনের অপরাধ চরম পর্যায়ে পৌঁছায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ এখন আলোচিত। এই বিভাগের মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে সময় পার করছেন। দিনে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি রাতে ডাকাতি সব মিলিয়ে ভালো নেই এখানকার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যৌথ বাহিনীর অভিযানেও সামাল দেয়া যাচ্ছে না পরিস্থিতি। মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা, হাতিরঝিল- এই ৬ থানা নিয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ। এতে মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোন রয়েছে। ঢাকা যেমন দেশের রাজধানী, ঠিক তেমনি তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর থানাধীন এলাকার তুরাগ হাউজিং যেন সারা দেশের মাদক বাণিজ্যের ‘রাজধানী’। হাত বাড়ালেই হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদকদ্রব্য। এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুর থানা এলাকার তুরাগ হাউজিং, একতা হাউজিং-এ অবৈধ মাদক বাণিজ্য পরিচালনা করে যেন মাদকের এক স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে মাদক সম্রাজ্ঞী আসমা গং। মাদক সম্রাজ্ঞী আসমার উত্থানের ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ। আসমার প্রথম স্বামী কুখ্যাত মাদক সম্রাট ফালু দীর্ঘ ৬-৭ বছর আগে এলিট ফোর্স র্যা ব এর সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়। ফালু মারা যাওয়ার পর মাদক সম্রাজী আসমা বিয়ে করেন আরেক মাদেকের সম্রাট জাকির ওরফে কাইল্লা জাকিরকে। কাইল্লা জাকিরকে বিয়ে করার পর মাদকের ব্যবসা আরো জোরদার ভাবে শুরু করেন মাদক সম্রাজ্ঞী আসমা। মাদক সম্রাজ্ঞী আসমা ও তার স্বামী কাইল্লা জাকিরের মাদকের ব্যবসা দেখাশোনা করে আসমার বড় ছেলে রবিন ওরফে সুটার রবিন। আসমার ছেলে রবিন ও তার কিশোর গ্যাং খুবই উশৃঙ্খল ও বেপরোয়া। মাদক সেবন, মাদক ব্যবসায়, নারীঘটিত অপরাধ, চাঁদাবাজী, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পথচারীদের মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করা, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা সহহ এই কিশোর গ্যাং বাহিনীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেট থানায় একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কেউ তাদের একচ্ছত্র মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করলেই তাদেরকে সুটার রবিন নানা ভাবে হুমকি দেয় ও ক্ষতি করার চেষ্টা করে। মাদক সম্রাজী আসমার নামেও মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রকাশ্যে জনসম্মুখে গাজা, ইয়াবা, হিরোইনের মতো স্পর্শকাতর মাদক যুব সমাজের মাঝে বিক্রয় করছে মাদক সম্রাজ্ঞী আসমা গং এর সেলসম্যানরা। তুরাগ হাউজিং এর নদীর পাশে এবং একতা হাউজিং ও আশেপাশের অলিগলিতে দেদারসে মাদক বিক্রি করে এই গ্যাং।
এই মাদক সম্রাজ্ঞী আসমা গং দের ব্যাপারে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এই প্রতিবেদককে বলেন, “আমি ছিনতাই, সন্ত্রাসী ও মাদক নিয়ে কাজ করছি তথ্য দিয়েছেন ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।।

বর্তমানে সমাজ ও দেশের জন্য মাদকাসক্তি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকের নীল নেশা আজ তার বিশাল থাবা বিস্তার করে চলেছে এ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এ মরণনেশা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা না গেলে এ হতভাগ্য জাতির পুনরুত্থানের স্বপ্ন অচিরেই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

আর এই মাদক সম্রাজী আসমা গংদের মাদকের ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের তথ্য নিয়ে বিস্তারিত দেখতে চোখ রাখুন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দ্বিতীয় পর্বে……

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com