শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর থানাধিন এলাকার তুরাগ হাউজিংএ যেন কোন ভাবেই থামছে না মাদক বানিজ্য। বর্তমানে সমাজ ও দেশের জন্য মাদকাসক্তি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকের নীল নেশা আজ তার বিশাল থাবা বিস্তার করে চলেছে এ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
আর এই মাদক হচ্ছে এমন একটি দ্রব্য যা সেবন করলে মানুষের স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন সাধিত হয় এবং এসব দ্রব্য সামগ্রী মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায়। বাংলাদেশের মাদকদ্রব্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। মাদকের হিংস্র ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশের যুবসমাজ। ভৌগোলিকভাবেই বাংলাদেশ মাদক প্রবন দেশ। কেননা বাংলাদেশের অবস্থান গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল, গোল্ডেন ক্রিসেন্ট এবং গোল্ডেন ওয়েজের মধ্যবর্তী স্থানে। এ কারণে এদেশের মাদকদ্রব্য সহজলভ্য। ফলে যুবসমাজের হাতের নাগালে চলে আসে মাদকদ্রব্য যা তাদেরকে মাদকাসক্ত হতে প্রলুব্ধ করে। মাদকাসক্ত হওয়ায় যুবসমাজের নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় ঘটে। ফলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। দেশের উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায় এই মাদকদ্রব্য। তাই দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য সর্বপ্রথম যুবসমাজকে মাদকের ভয়ংকর ছোবল থেকে বাঁচাতে হবে। তা না হলে তাদের সৃজনশীল শক্তির লোভ পাবে এবং তারা অন্ধকারে ধাবিত হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় দেদারসে মাদক বানিজ্য চালিয়ে আসছে আসমা গং দের মতো মাদকের সম্রাজ্ঞীরা। মোহাম্মদপুর থানা এলাকার তুরাগ হাউজিং, একতা হাউজিং এর ভেতরে এ যেন এক মাদকের স্বর্গরাজ্য তৈরি করে রেখেছে মাদক সম্রাজী আসমা গং। মাদক সম্রাজী আসমার স্বামী কুখ্যাত মাদক সম্রাট ফালু দীর্ঘ ৬-৭ বছর আগে এলিট ফোর্স র্যাব এর সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়। ফালু মারা যাওয়ার পর মাদক সম্রাজী আসমা বিয়ে করেন আরেক মাদেকের সম্রাট জাকির ওরফে কাইল্লা জাকিরকে। কাইল্লা জাকিরকে বিয়ে করার পর মাদকের ব্যবসা আরো জোরদার ভাবে সুরু করেন মাদক সম্রাজী আসমা গং রা। মাদক সম্রাজী আসমা ও তার স্বামী কাইল্লা জাকিরের মাদকের ব্যবসা দেখাশোনা করে আসমার বড় ছেলে রবিন ওরফে সুটার রবিন ও তার (রবিনের) স্ত্রী আঁখি ওরফে মাদকের কুইন্স আঁখি । মাদক সম্রাজী আসমার ছেলে রবিন ওরফে সুটার রবিনের রয়েছে কিশোর গ্যাং বাহিনী তাদেরকে দিয়ে চুরি,ছিনতাই,মারামারি, দখল বাজি, এলকায় আধিপত্য বিস্তার করা ছাড়া নানা ধরনের অপকর্ম। রবিন ওরফে সুটার রবিনের নামে মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মাদক সম্রাজী আসমা গং দের মাদক ব্যবসায় কেউ বাধা হয়ে দাড়ালে তাদেরকে সুটার রবিন নানা ভাবে হুমকি দেয় ও ক্ষতি করে। মাদক সম্রাজী আসমার নামে মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, প্রকাশ্যে জনসম্মুখে গাজা,ইয়াবা,হিরোইনের মাদক যুব সমাজের মাঝে বিক্রয় করছে মাদক সম্রাজী আসমা গং এর সেলসম্যানরা। তুরাগ হাউজিং এর নদীর পাশে এবং একতা হাউজিং ও আশে পাশের অলিগলিতে দেদারসে মাদক বিক্রিয় চলছে। এ যেন মাদকের একটি হাট। হাত বাড়ালেই হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদকদ্রব্য। আমার লোক সমাগম বেশি থাকলে ফোনের মাধ্যমে বিক্রিয় হয় এসব মাদকদ্রব্য। একতা হাউজিং ভাংসিং কোম্পানির সামনে রোড নং – ০৫,বাড়ী নং -০৯ বাড়ীর ভেতর থেকে টোটাল মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে মাদক সম্রাজী আসমা গং।
এই মাদক সম্রাজী আসমা গং দের ব্যাপারে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এই প্রতিবেদককে জানায়, আমি ছিনতাই, সন্ত্রাসী ও মাদক নিয়ে কাজ করছি তথ্য দিয়েছেন ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বর্তমানে সমাজ ও দেশের জন্য মাদকাসক্তি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকের নীল নেশা আজ তার বিশাল থাবা বিস্তার করে চলেছে এ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এ মরণনেশা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা না গেলে এ হতভাগ্য জাতির পুনরুত্থানের স্বপ্ন অচিরেই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
আর এই মাদক সম্রাজী আসমা গং দের মাদকের ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের তথ্য নিয়ে বিস্তারিত দেখতে চোখ রাখুন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দ্বিতীয় পর্বে……