শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
মনোয়ার হোসেন:
নীলফামারী সদর উপজেলায় প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করে বাড়িতে ডেকে এনে উধাও হয়ে গেছে নাঈম ইসলাম নামে এক যুবক। এতে প্রতারিত হয়ে প্রেমিকের বাড়ির বারান্দায় অনশন শুরু করেছেন শিমু আক্তার নামে এক তরুণী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাঈম ও শিমুর পরিচয় হয়। সেখান থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে নাঈম বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে ১৫ দিন আগে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে নাঈমের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপরই রহস্যজনকভাবে নাঈম নিখোঁজ হয়ে যায়, আর তার স্ত্রী দাবি করা শিমু বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় অবস্থান নেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিমু আক্তার নাঈমের বাড়ির সামনে অনশনে বসে আছেন। তিনি বলেন, “এক বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করার পর সে আমাকে ফেলে পালিয়ে গেছে। এখন আমি কোথায় যাব? আমি এখানেই থাকব, মেনে না নিলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হব।”
এ বিষয়ে লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, “বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। এখান থেকে কিছু করা সম্ভব নয়।”
এদিকে, নাঈমের বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামে। নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বিষয়ে বলেন, “যদি উভয়ের বয়স প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।”
শিমু আক্তার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেরুবন্দ চেংমারি নাইপাড়া গ্রামের মৃত মহুবর আলীর মেয়ে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রেম, প্রতারণা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের এই কাহিনী এখন পুরো এলাকায় আলোচনার বিষয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান হবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়!