শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের খিলখেত বাজারে একটি চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে বিএনপির যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচিত শীর্ষ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী খোকন। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগণের অভিযোগ, খোকন দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
খোকন, যিনি স্থানীয় ১৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাশ বাজার কমিটির কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত, তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, খোকন নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে থাকে এবং প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। সম্প্রতি, স্থানীয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাকে গ্রেফতার করলেও সে খুব শীঘ্রই জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় একই কাজ শুরু করেছে।
এদিকে, এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন যে, খোকন তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অচ্ছুৎ। তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় খোকন আরো সাহসী হয়ে উঠেছে এবং স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, “প্রতিদিনই খোকন বাজারে এসে চাঁদা দাবি করছে এবং কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে ভয় দেখানো হচ্ছে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী মিরাজ হোসেন জানান, “আমি আমার দোকান চালাতে চাই, কিন্তু খোকনের চাঁদাবাজির কারণে আমার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তাকে প্রতিবাদ করলেই নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়। সে যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, তাতে আমাদের ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
তবে, খোকনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ অগ্রাহ্য হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, ফলে খোকন মুক্তি পেয়ে পুনরায় সেই পুরনো কর্মকাণ্ডে ফিরে যাচ্ছে।
খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন কিংবা কোনো রাজনৈতিক দল থেকে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, খোকন তার রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার কারণে কোনো রকম আইন প্রয়োগের শাস্তি থেকে রেহাই পাচ্ছে।
এ বিষয়ে খিলখেত বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা বারবার অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা পাইনি। খোকন তার শক্তিশালী রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যবহার করে আমাদের উপর শোষণ চালাচ্ছে। প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমাদের জীবনে অস্থিরতা আরও বাড়বে।”
এদিকে, খোকনের কর্মকাণ্ডে এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় নেতারা দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে খোকনের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম এলাকায় আরও ক্ষতি সাধন করবে।
এখন জনগণ ও ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছ থেকে তৎকালীন হস্তক্ষেপের আশায় আছেন, যাতে খোকনের মতো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
অন্যথায়, খোকনের মতো অপরাধী চক্রগুলোর ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং স্থানীয় জনগণের মাঝে আতঙ্ক ও অনিরাপত্তা বাড়বে। এরই মধ্যে জনগণ প্রশাসন থেকে দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে।