রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুর আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ ইং উপলক্ষে আলোচনা সভা ভুট্টাক্ষেতে মিলল প্রিয় দ্বিতীয় স্ত্রীর মাথাবিহীন লাশ, প্রথম স্ত্রী নিয়ে স্বামী পলাতক সাংবাদিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ সাংবাদিকের নামে ষড়যন্ত্রমূলক বনখেকো চক্রের অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কৃতি সন্তান হাসান পেলেন ইন্টেল চাকরি, বছরে বেতন ২ কোটি টাকা নরসিংদী মনোহরদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুইজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা ভোলায় “সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের সঙ্গে বেয়াদব এসপির কীসের পীড়িতি?” ডোমারে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব: ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ শরণখোলায় এক ব্যবসায়ীর ঘর আগুনে ভস্মীভূত সুন্দরবন টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
ডোমারে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব: ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

ডোমারে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব: ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের তাণ্ডব চলছেই। গত ২৩ ই আগস্ট শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার দিকে ডোমার উপজেলার হরিণচরা ইউনিয়নের খোকাবাবুর মোড়ে এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তুলে চাঁদাবাজি, নারী অপহরণ, জুয়া, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ নানা অপরাধের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ত্রাসের নেতৃত্বে থাকা মো. আজহারুল ইসলাম রাজা ও ওসমান গণি দুলাল নোয়াখালী জেলা থেকে এসে হরিণচরায় “নোয়াখালী পাড়া” নামে একটি গ্রাম গড়ে তোলে। সেখানে নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে স্থানীয়দের জিম্মি করে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শফিউল আযম জানান, ঘটনার দিন তিনি ডোমারে ব্যবসায়িক কাজ শেষে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে খোকাবাবুর মোড়ে তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী পলিত চন্দ্র রায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। তখনই মেহেদী হাসান মেহেরুনের নেতৃত্বে ৮-১০টি মোটরসাইকেলে করে ১০-১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সেখানে উপস্থিত হয়। তারা দোকান মালিক পলিত চন্দ্র রায়ের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা দোকান ভাঙচুর করে এবং ব্যবসায়ীকে মারধর করে।

এরপর সন্ত্রাসীরা ওই ব্যবসায়ীকে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মো. সেলিম নামে একজন তার ব্যবহৃত স্যামসাং বাটন ফোনও ছিনিয়ে নেয়। পরে নূর হোসেনের নির্দেশে তার পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরও ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। টাকা না দিলে তাকে হাসপাতালে কিংবা থানায় পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

ঘটনার সময় স্থানীয়রা ভয়ে এগিয়ে আসতে সাহস পাননি, কারণ এলাকাবাসী বেশিরভাগই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

এলাকাবাসী এখন প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com